ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে- এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ইসলাম ধর্মকে লিজ দেয়া হয়নি। মূর্তি ও ভাস্কর্য এক জিনিস নয়। বিশ্বের প্রায় সব ইসলামিক রাষ্ট্রে প্রাচীনকাল থেকেই ভাস্কর্য রয়েছে। ১৯৭২ সালে গাজীপুর চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধার হাতে রাইফেল ও গ্রেনেড সম্বলিত ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়, যা অদ্যাবধি বিদ্যমান। কিন্তু এখন যেসব ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তি ভাস্কর্যের বিষয়ে কথা বলছে তাদের উদ্দেশ্য কী?
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাট্যজন আলী যাকের ও ফুটবলার বাদল রায়ের স্মরণে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে হক্কানি আলেমদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামের সঠিক তথ্য সবাইকে জানাতে হবে। ইসলামে ভাস্কর্য নিষেধ বা হারাম নয়। ইসলামিক রাষ্ট্র ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রচুর ভাস্কর্য রয়েছে। জনগণকে এ বিষয়টি জানাতে হবে।
সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশ এবং তাদের সাধের পাকিস্তানসহ সব দেশের ভাস্কর্য টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা জাতিকে দেখানো হোক।
আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হোক, সেসব সংগ্রহ করে আমাদের দেশে পাঠাতে। এরপর তারা বলুক কোন উদ্দেশ্য তারা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের এজেন্ডা কী?’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ররঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল, এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার টিপু, জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা ও কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল সভায় বক্তব্য রাখেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on December 2, 2020 5:18 pm by প্রতি সময়