হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ বলেছেন, হার্ট সুস্থ থাকা মানেই কিন্তু শরীর সুস্থ থাকা। কারণ শরীরে মূল কাণ্ডারি হল এই হার্ট। তাই সবার আগে হার্টের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে গেলে হার্ট ভাল রাখতেই হবে। আজকাল খুব কম বয়স থেকেই অনেকেই হৃদরোগের শিকার হয়ে থাকেন, আবার অনেকে হার্টের নানা সমস্যায় ভুগেন। আমাদের এই দৈনন্দিন জীবনটাকে সুস্থতার সাথে বাঁচার জন্য হার্টকে কীভাবে আমরা সুস্থ রাখতে পারি এবং এর জন্য কী কী করনীয় তা জানতে হবে, মানতে হবে। প্রতিটি মানুষকে মনে রাখতে হবে সুস্থ হার্ট সুস্থ জীবন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর আওয়ার লেডি অফ ফাতিমা গার্লস হাই স্কুলে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে হৃদরোগ প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ
এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে হার্ট ও হৃদরোগ সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হৃদয় দিয়ে হার্টকে জানুন’ এ স্লোগান কে ধারণ করে হার্ট কেয়ার ফাউন্ডেশন কুমিল্লার আয়োজনে বছর ব্যাপী সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে কুমিল্লা নগরীর বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রচারণামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে সংগঠনটি।
অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, হার্টের সুস্থতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে অত্যন্ত আবশ্যক। তবে হার্টের সুস্থতা নির্ভর করে সম্পূর্ণ নিজের ওপর। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় নানা রকম খাবার থাকে। এসব খাবারের মধ্যে এমন সব খাবার থাকে যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর মধ্যে বিশেষ করে কোলোস্টেরল যুক্ত খাবার, অ্যালকোহল পান, কোমল পানীয়, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার অনেক ক্ষেত্রে হৃদরোগের কারণ হতে পারে। তাই নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে হৃদয়কে বুঝতে চাইলে এসব খাবার পরিহার করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, শিক্ষাজীবনের এই সময় থেকে তোমরা যদি হার্ট সুস্থ রাখতে চাও তাহলে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। হার্টের রোগের এখন আর কোনও বয়স হয় না। প্রথম থেকেই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, প্রচুর শাকসবজি ও বিভিন্ন ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে আনতে হবে। কাঁচা লবণ, কোমল পানীয় ও ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। প্রয়োজন মত ঘুমাতে হবে। এ বিষয়গুলো যদি মেনে চলো এবং নিজেদের পরিবারকে সচেতন হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখো তাহলে ঘাতক ব্যাধি হৃদরোগ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে মুক্ত রাখতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ডাক্তার মল্লিকা বিশ্বাস, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনামারিয়া কস্তা ও ফাউন্ডেশনের সদস্য সানজিদা নাবিলা প্রমুখ।
Last Updated on November 30, 2023 10:53 pm by প্রতি সময়