#গুরুতর আহত শিশু রেদওয়ান।
চার বছর বয়সী রেদওয়ান। একটি দোকান থেকে খাবার কিনে রাস্তা পার হচ্ছিল। কিন্তু তার গন্তব্যে পৌঁছার আগেই বেপরোয়া গতির একটি টয়োটা জীপ রেদওয়ানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। আঘাতে শিশুটির বাম পায়ের হাটুর উপরে হাড় ভেঙে বেড়িয়ে আসে এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত শিশুটি আশংকাজনক অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটিয়েছে বরগুনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর ব্যবহৃত গাড়ী।এমন একটি ঘটনা ঘটানোর পর বিষয়টি জেনেও মানবিকতা প্রকাশ করছেন না নির্বাহী প্রকৌশলী। আহত শিশুর পরিবার নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে দেখা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন।
রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে বরগুনা-পুরাকাটা সড়কের কেওড়াবুনিয়া কৃষি কলেজের সামনে শিশু রেদওয়ানকে গাড়ী চাপার এ ঘটনা ঘটে। রেদওয়ান বরগুনা সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া এলাকার মো. ইউনুস মোল্লার ছেলে।
দুর্ঘটনার পরপরই পথচারী ও স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহতাবস্থায় শিশুটিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তার বিপরীত দিকের একটি দোকান থেকে শিশুটি খাবার কিনে রাস্তা পারাপারের সময় পুরাকাটার দিক থেকে আসা একটি টয়োটা জিপ গাড়ি শিশু রেদওয়ানকে চাপা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়ে। স্থানীয় ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু শিশুটির মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মস্তিষ্কে ররক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান শিশুটির মাথার পেছনে অনেকটা ফেটে গিয়েছে এবং তার মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে। দ্রুত তার অপারেশন এর ব্যবস্থা করতে হবে।
শিশু রেদওয়ানের অভিভাবকরা গাড়ির সন্ধান করে জানতে পায়, ওই গাড়িটি বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর এবং চালক কামাল হোসেন। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো-ঘ ০২১৭৪৯।
সওজ কার্যালয়ের গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও শিশুটির অভিভাবকদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেননি নির্বাহী প্রকৌশলী হায়দার আলী। তবে গাড়িটি সওজ’র এবং ওই গাড়িতে ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী এবং চালক কামাল হোসেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৈশ প্রহরী মনিন্দ্র চন্দ্র। তিনি বলেন, গাড়িটি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী উভয়েই ব্যবহার করেন।
এদিকে ঘটনার পরপরই চালক কামাল হোসেন মুঠোফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। তার ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে,সওজ বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অনেক চেষ্টা করেও কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় শিশু রেদওয়ানের মামা সরোয়ার হোসেন রাত ন’টার দিকে বরগুনা থানায় নির্বাহী প্রকৌশলী হায়দারুজ্জামান ও চালক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on November 19, 2020 8:04 am by প্রতি সময়