
কুমিল্লার বরুড়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নু-এমং মারমা মং।
রবিবার (৩ মার্চ) বরুড়া উপজেলার খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়নের মুগুজী দক্ষিণপাড়া জলিল মিয়ার বাড়িতে মৃত ওমর ফারুকের কন্যা মুগুজী মাষ্টার আবদুস সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তারের বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল।
আজ রবিবার বেলা ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা বেগম বিষয়টি জানার পর তার প্রতিনিধির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু-এমং মারমা মংকে অবগত করেন।
পরে সরেজমিনে ওই ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকতা দেখে বিয়ে বন্ধ করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাল্য বিবাহ নিরোধ ও প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ওই ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় ।
মেয়ের বয়স ১৮ বছর পুর্ন না হওয়ার আগ পর্যন্ত বিবাহ দিবেনা মর্মে বর্তমান অভিভাবক মো. জলিল মিয়া ও মাতা সালমা বেগম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত মোঃ ইব্রাহিম খলিল, বরুড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধিন পরিচালিত কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের জেন্ডার প্রমোটর সাংবাদিক মো. শরীফ উদ্দিন, সাংবাদিক মো. জহির হোসেন সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং ওই স্কুল ছাত্রীর আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।