খুনের আটদিন পার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছাত্রলীগ নেতা রাজুর ঘাতকরা। প্রকাশ্যেই ঘুরছে মূল ঘাতকরা। সহযোগিরা গ্রেফতার হলেও মূল ঘাতকদের গ্রেফতার হচ্ছেনা। এমন দাবীতে ফুঁসে উঠেছে নিহত রাজুর গ্রামবাসী।
শুক্রবার (৭ আগষ্ট) বিকালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী করেছে কুমিল্লার বরুড়ার উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের অলীতলা গ্রামবাসী।
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আ.ন.ম মেহেদী হাসান রাজু খুন হয় গত ৩০ জুলাই রাতে।
এঘটনায় নিহত রাজুর ছোট বোন ইশরাত জাহান লাকি বাদি হয়ে অলীতলা এলাকার তালেব আলীর ছেলে গুরফান,ওই এলাকার মৃত মোতাহের হোসেনের ছেলে সোয়েব, নরসিংহপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মিজান, রামমোহন এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে রুবেল, আরিফপুর এলাকার মোজাম্মেল, অলীতলা দক্ষিনের মহিউদ্দিনের ছেলে জলিলসহ আরো অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু থানায় মামলা হলেও আসামীর তালিকায় থাকা মূল ঘাতকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এরই প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে বরুড়ার উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের অলীতলা গ্রামবাসী আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে উপস্থিত খোশবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সর্দার, খোশবাস ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য কামরুল হাসান পাটোয়ারী টুটুল বলেন, ‘খুনের পরে আট দিন পার হলেও পুলিশ খুনীদের সহযোগিদের আটক করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে মূল আসামীরা। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই মেহেদী হাসান রাজুর মূল হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করা হোক’।
উল্লেখ্য, ৩০ জলাই রাতে মোটরসাইকেলে মেহেদী হাসান রাজু ও তার পিতা আবদুল করিম নিজ বাড়ির সামনে আসা মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় রাজুর পিতাও আহত হন। পরে রাজুকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Last Updated on August 7, 2020 3:35 pm by প্রতি সময়