
শুরুর দিকে ধারণা করা হতো যে হাঁচি বা কাশির ফলে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস ছড়ানো সম্ভব। সে কারণেই মহামারির শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়াকে অন্যতম একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। কিন্তু এখন তারা বলছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণের’ আশঙ্কা থাকতে পারে। এনিয়ে ‘প্রতিসময়’এর স্বাস্থ্য বিভাগে লিখেছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, লেখক এবং হার্টকেয়ার ফাউন্ডেশন-কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এ বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য-প্রমান এখন পাওয়া যাচ্ছে যে করোনা ভাইরাস বাতাসে ছড়ায়। অতিসম্প্রতি ২৩৯ জনবিজ্ঞানী এক যৌথ বিবৃতিতে দাবী করেন যে করোনা ভাইরাসের জীবানু ড্রপলেটের মাধ্যমে বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে এবং মানুষ তার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। এর পরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে যে, করোনা ভাইরাস মহামারী সংক্রমনের মাধ্যম এবং এর প্রেক্ষিতে কী কী সতর্কতা গ্রহন জরুরী সবকিছু বিষয়ে যে সকল তথ্য ইতিমধ্যে প্রমানিত হয়েছে তা খোলামেলাভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা দরকার।
বলা হচ্ছে সাধারণত জনসমাগম যেখানে হয় বিশেষ করে সভা-সমাবেশ, মিছিল, হাট-বাজার এই সকল স্থানছাড়াও বদ্ধ ঘর – যেখানে দরজা-জানালা নেই অর্থাৎবাতাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারেনা এই সকল স্থানে বায়ুবাহিত সংক্রমনের সম্ভাবনা থাকে বিধায় এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
বায়ু বাহিত ড্রপলেট নিউক্লিয়াসগুলোর আকার খুবই ছোট। এগুলো ৫ মাইক্রনের চেয়েও ছোট যা বাতাসে অনেক্ষন ভেসে থাকতে পারে এবং এভাবেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সাথে মানুষের ভিতর প্রবেশ করে মানুষকে সংক্রমিত করে।
সুতরাং আমাদের নিন্মলিখিত বিষয়গুলো জানতে হবে এবং মেনে চলতে হবে-
১. বায়ুবাহিত সংক্রমন প্রতিরোধ করতে হবে।
২. যক্ষা, হাম, জলবসন্ত ইত্যাদি ও বায়ুবাহিত রোগ হওয়ায় সংক্রমন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহনে এই সকল রোগ প্রতিরোধও সহজ হবে।
৩. সভা-সমাবেশ, মিছিল, হাট-বাজার এবং ধর্মীয় উপাসনালয় – এই সকল স্থান এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. দরজা-জানালাহীন বদ্ধ ঘর যেখানে ঠিকমতো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নেই সেই সকল স্থান এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
৬. সরকারকেও এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।
Last Updated on August 24, 2020 3:13 am by প্রতি সময়
এই ধরনের আরও খবর...