ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিই হাওড় এলাকার অন্তর্গত। খাদ্য গোডাউনে সরকারি ধান সংগ্রহে কৃষকের তালিকা প্রণয়নে বৈষম্যের বিষয়টি বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে এবং তারা এ তালিকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তালিকায় দেখা গেছে, সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা তালিকাতে জনবহুল সবচেয়ে বড় খাওয়ার এলাকা পত্তন ইউনিয়নে মাত্র একজনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বুধন্তি ইউনিয়নের দুইজন, পাহাড়পুরে ৪ জন, ইছাপুরায় ৮ জন, চর ইসলামপুরে ১২ জন এবং বিষ্ণুপুর ১৩ জন।
অন্যদিকে কেবলমাত্র চান্দুরা ইউনিয়নে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে ৯৭ জন। যা উল্লেখিত পাঁচটি ইউনিয়নের চার গুণ।
তালিকায় এই বৈষম্য লক্ষ্য করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিজয়নগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (খাদ্য পরিদর্শক) সুভাষ দেবনাথ বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিষয়টা জানেন।
এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইমরান হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এটার জন্য সিস্টেমের অথবা সার্ভারের সমস্যা হতে পারে। কিভাবে এমন হলো আমরাও বুঝতে পারছি না। বরাদ্দের অধিকাংশ বাকি আছে, যা আমরা পরবর্তী লটারিতে নির্ধারণ করে নিব।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, কৃষক নির্বাচন কমিটির আমি কেবলমাত্র সদস্য, আমি কিছু জানিনা। বঞ্চিত কৃষকরা চাইলে মামলা করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, কৃষক নির্বাচন কমিটির সভাপতি এবং ফুড ইন্সপেক্টর পরিপূর্ণ অবগত তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। ফুড ইন্সপেক্টর ও তার সহকারি কিভাবে লটারি করেছেন, তারা বলতে পারবেন। বিষয়টা আমরা খতিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
Last Updated on May 20, 2024 8:30 pm by প্রতি সময়