ঈদের দিনের মতোই আজ শুক্রবার নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে শিশু কিশোরদের কোলাহল আর হৈচৈ এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই স্বজন প্রিয়জন নিয়ে কুমিল্লার বিনোদনকেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দে পরিবেশ হয়ে ওঠে ব্যাপক উৎসবমুখর।লোকজন মেতে উঠে আনন্দের বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে। কী ধনী আর কী গরীব। ছিল না কোন ভেদাভেদ। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সববয়সী লোকজন মনের মাধুরী মেশায়ে কুমিল্লার বিনোদন স্পট ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ঘুরে বেড়িয়েছে, নানাভাবে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেছে।
ঈদের দিনের মতোই আজ শুক্রবার নগর উদ্যান, ঢুলিপাড়ায় ফান টাউন সহ বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে নারী পুরুষ ও শিশুদের ঢল নামে। নগর উদ্যান ও ঐতিহাসিক ধর্মসাগর দিঘীর পাড়ে সব বয়সী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোরদের কোলাহলে হয়ে উঠে মুখরিত। দলবেঁধে ধর্মসাগর দিঘীতে নৌকায় চড়ে এপাড় ওপাড় ঘুরে বেড়িয়েছে তরুণ তরুণীরা।
এছাড়াও ঈদের দিন প্রত্মতত্ত্ব সম্পদে ভরপুর কোটবাড়ির ময়নামতি যাদুঘর ও শালবনবৌদ্ধবিহারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নাড়ির টানে কুমিল্লায় ঈদ করতে আসা পরিবারগুলোর ছোটবড় সকলেই মনের মাধুরি মেশায়ে ঘুরেছে। আজ শুক্রবার এটি বন্ধ থাকায় কোটবাড়ি এলাকায় ম্যাজিক প্যারাডাইস, ডাইনোসার পার্কসহ অন্যান্য বিনোদনস্পটগুলো ছিল দর্শনার্থীদের আড্ডা আর ঘুরাঘুরিতে মুখর। কোটবাড়ি ম্যাজিক প্যারাডাউসের ওয়াটার পার্কে মানুষের ঢল নামে। গরমে ডিজে মিউজিকের সঙ্গে জলকেলিতে মেতেছেন অনেকেই। বাচ্চাদের সঙ্গে পরিবারের বড় সদস্যরাও বিভিন্ন ধরনের রাইডে চড়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন। এবারে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ঈদ ঘিরে বিনোদনপিপাসু মানুষের চাপ ও যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
এদিকে বিনোদন কেন্দ্রেগুলোতে কোমলমতি শিশুদের উপস্থিতি অনেকটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অভিভাবকরা জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত স্কুল, এরপর কখনো কোচিং সহ নানা ব্যস্ততার কারণে বাচ্চাদের বিনোদন দেয়ার খুব বেশি সুযোগ হয় না। তাই ঈদের ছুটিতে শিশুদের জন্যই বিনোদন স্পটে আসা। তবে অনেক অভিভাবক কুমিল্লা নগরীতে আরও বিনোদন স্পট গড়ে তোলা হলে বিনোদন পিপাসু মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মত পোষন করেছেন।
Last Updated on April 12, 2024 8:07 pm by প্রতি সময়