এঘটনায় নিমসার – কংশনগর বাজার সড়কের শিকার পুর এলাকার শত শত নারী পুরুষ হত্যা কান্ডের বিচার ও জিবির চাঁদা বন্ধের দাবীতে লাশ নিয়ে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী, পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম এবং ইউপি সদস্যদের আশ্বাসে স্থানীয় লোকজন অবরোধ তুলে নেন।
নিহতের বড় ভাই সিএনজি চালক উপজেলার ভারিকোঠাগ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে আবুল কালাম বলেন সকাল সাড়ে ৭ টায় তিনি নিমসার বাজারে সিএনজি নিয়ে আসেন। এসময় নিমসার বাজারে জিবির ( চাঁদা) টাকাকে কেন্দ্র করে সায়েদুল, মিজান, বাকির সহ ৫-৭ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী পূর্ববিরোধের জেরে তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে ভাবে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এদিকে আবুল কালামের ছেলে সিএনজি চালক মোঃ আল আমিন জানান তার পিতাকে রক্তাক্ত জখম করে দুপুরের দিকে উল্টো তাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ এনে দেবপুর ফাঁড়ি থেকে পুলিশ নিয়ে ভাড়িকোঠা তাদের বাড়িতে যায়। বাড়িতে কাউকে না পেয়ে পুলিশ ফিরে আসেন।
পরে দুপুর ৩ টায় আবুল কালামের ছোট ভাই আবু কাসেম (৩৭) চান্দিনা হাসপাতাল থেকে বড় ভাই কে দেখে বাড়ি ফেরার পথে শিকারপুর মালি বাড়ির এলাকায় সায়েদুল, মিজান, বাকির সহ৫-৭ জন পথ রোধ করে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। তার আত্ম চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কাবিলায় ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভারিকোঠা শিকারপুর এলাকায় নিমসার -কংশনগর সড়কে শত শত নারী পুরুষ সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ অফিসার এস আই রাজীব চৌধুরী, কাজী হাসান উদ্দিন, রুহুল আমিন, সায়েদুল ইসলাম এবং ইউপি সদস্য মোঃ জাকির হোসেন, মনির হোসেন লোকজনকে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেয়।
এসময় দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম এবং চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী ও লোকজন কে বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলী বলেন জিবির নামে চাদাবাজী এটি একটি হয়রানি। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত অঘটন ঘটে থাকে। চাঁদা বাজী বন্ধ না করলে দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাবে না।প্রথমে বড় ভাই আবুল কালাম পিটিয়ে আহত করে। ছোট ভাই আবু কাসেমকে হাসপাতাল থেকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে তাকেও পিটিয়ে হত্যা করে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এ হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার দাবী করেছে এলাকাবাসী।
এব্যপারে বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমেকে ময়না তদন্তের জন্য লাশ প্রেরন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বুড়িচং থানার ওসি মোঃ ইসলাম হোসেন বলেন জিবির টাকা নিয়ে মারা মারির ঘটনায় একজন নিহতের খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে কুমেকে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেছি।এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Last Updated on March 26, 2023 9:59 pm by প্রতি সময়