ভারতের ত্রয়োদশ প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি সোমবার(৩১ আগস্ট)সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
ভারতের প্রথম বাঙালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এদিকে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ২ সেপ্টেম্বর বুধবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার।এদিন দেশের সব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ শোকবার্তায় বলেন, ‘প্রণব মুখার্জি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে প্রণব মুখার্জির ভূমিকা আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত তৈরিতে তার ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
তিনি প্রণব মুখার্জির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শোকবার্তায় বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন রাজনীতিবিদ ও আমাদের পরম সুহৃদ হিসেবে প্রণব মুখার্জির অনন্য অবদান কখনও বিস্মৃত হবার নয়। আমি সবসময় মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ভারতে নির্বাসিত থাকাকালীন প্রণব মুখার্জি আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেছেন। এমন দুঃসময়ে তিনি আমার পরিবারের খোঁজখবর রাখতেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে আমার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশে ফেরার পরও প্রণব মুখার্জি সহযোগিতা এবং উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক ও পারিবারিক বন্ধু। যেকোনো সংকটে তিনি সাহস যুগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ভারত হারালো একজন বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক নেতাকে আর বাংলাদেশ হারালো একজন আপনজনকে। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য,২০১২ সালে ভারতের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে প্রণব মুখার্জি কয়েকবার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮০ সাল থেকে তিনি একাধিক সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। আনুগত্য ও অসামান্য প্রজ্ঞাবান এই বাঙালি ভারতের সর্বক্ষেত্রে শ্রদ্ধার পাত্র। গতবছরের আগস্টে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কারে ভূষিত হন।
# দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on September 1, 2020 2:58 am by প্রতি সময়