কুমিল্লায় এক মাদকাসক্ত মাদক সেবনের বকেয়া পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ফের মাদক সেবনের জন্য স্ত্রীকে তিন মাদক কারবারির কাছে বন্দক দেয়।
পরে আবুল খায়ের নামের ওই মাদকাসক্ত ব্যক্তি কৌশলে তার স্ত্রীকে মাদক কারবারিদের হাতে তুলে দেয়। বকেয়া পাঁচ টাকার পরিশোধ হিসেবে মাদকাসক্ত স্বামীর সহযোগিতায় ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তিন মাদককারবারি।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগী নারী কুমিল্লার বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে তিন ধর্ষককে আটক করে থানা পুলিশ। তারা হলেন- কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার শাকপুর এলাকার মাদক কারবারি নূরু এবং তার সহযোগী মনির ও মহিন।
আটক তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) তাদের আদালতে প্রেরণ করে বরুড়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামী আবুল খায়ের কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, বরুড়া উপজেলা শাকপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আবুল খায়ের একজন মাদকাসক্ত। ছয় বছর আগে সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। বিয়ের আগ থেকেই সে মাদকাসক্ত ছিল। মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালাত।
গত বুধবার মাদক সেবনের টাকা না থাকায় এবং মাদক বিক্রেতাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা বকেয়া পড়ায় শেষ অব্দি নিজের স্ত্রীকে মাদক কারবারি নূরু, মনির ও মাহিনের কাছে বকেয়া টাকার পরিশোধ হিসেবে বন্দক দেয়। বুধবার রাতে কৌশলে নিজের স্ত্রীকে তিন মাদক কারবারির হাতে তুলে দেয়।
পরে ওই নারীকে ফসলি জমির গভীর নলকূপের ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে নূরু, মনির ও মাহিন নামের তিন মাদক কারবারি।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী তার বাবার বাড়ি এলাকা মুরাদনগর চলে যান। পরে শুক্রবার ভুক্তভোগী নারী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে বরুড়া থানায় এসে অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে।
তাদের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
Last Updated on April 20, 2024 1:11 pm by প্রতি সময়