সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মুরাদনগর উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে ডাকাতদলের সদস্য আটক : লুন্ঠিত স্বর্ণসহ পিস্তলের গুলি, ম্যাগজিন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার  আওয়ার লেডি অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার গণধোলাইয়ের পর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ  চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রল বোমা মামলায় সাবেক কাউন্সিলর গ্রেফতার কুবিতে খুলনা বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি সুমন সম্পাদক তুষার কুমিল্লা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ : বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ভাষা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন মুরাদনগরে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান : লাখ টাকা জরিমানা, চিমনি ধবংস কুমিল্লায় শেখ মুজিবের ম্যুরালের অস্তিত্ব মাটিতে মিশিয়েছে ছাত্র-জনতা অনির্বাচিত সরকার কখনোই জনগণের সরকার না : ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লায় চাচার টেঁটার আঘাতে ভাতিজিবিদ্ধ যুবদল নেতা তৌহিদের মৃত্যুর ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চৌদ্দগ্রামে হামলার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুবকের মৃত্যু দাউদকান্দিতে ১৩ হাজার কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন আটক পরকীয়ায় প্রাণ গেলো প্রেমিকের, প্রেমিকা আটক বাংলাদেশ প্রাইভেট মাদরাসা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় কমিটি ঘোষণা নিহত তৌহিদের পরিবার সাক্ষাত করলেন জিওসি’র সঙ্গে চার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিশেহারা তৌহিদের স্ত্রী অলি আওলিয়ার এদেশে মাজার-খানকাহ রক্ষা করতে হবে : শাহসূফি মো. আলমগীর খান আল-মাইজভান্ডারী

মানবপ্রেমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্ধানই ছিল সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (কঃ) এর মৌলিক দর্শন

সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী, সাজ্জাদানশীন- মাইজভান্ডার দরবার শরীফ
  • আপডেট টাইম সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩
  • ১২৬ দেখা হয়েছে

লাখ লাখ মানুষ যার সাহচর্যে এসে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছেন আর অগণিত মানুষ খুঁজে পেয়েছেন মুক্তির পথ। মানবপ্রেমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্ধানই ছিল যার মৌলিক দর্শন। সেই তিনি হযরত সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (কঃ) ছিলেন প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শের প্রতিচ্ছবি।

তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, জ্ঞানের উৎকর্ষ ও আধ্যাত্নিক শক্তি জাতিসংঘ, ইউনেস্কোর মত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মেও তাকে উচ্চ মর্যাদার আসনে আসীন করেছে।

যতবারই প্রতিকূলতা এসেছে, বীরদর্পে অবতীর্ণ হয়েছেন সম্মুখ সমরে। মহান আল্লাহর প্রতি অটল আস্থা ও ধৈর্যের সাথে দুর্গম পথ পারি দিয়েছেন।
ইমাম হোসাইন (আঃ) এর সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে প্রমাণ করতে গিয়ে, নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন দ্বীনের জন্য। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পদক্ষেপে, বাংলাদেশে প্রিয় নবিজী (দ) এর প্রেমকে সুদৃঢ় ভিত্তিতে দাড় করিয়েছেন।

পৃথিবীর উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম তিনি ইসলামের অমীয় বাণী, মূল ধারা প্রচার প্রসারে যেমন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তেমনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও তার বিচরণ ছিল। তাই তিনি একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের প্রাণস্পন্দন। মানুষের মনকে তিনি জয় করতে পেরেছেন। তাই তার স্বর্গীয় সুষমায় পরিপূর্ণ সেই চেহারা মুবারক ও হাসি, মানব অন্তরে চিরস্থায়ী আসন লাভ করেছে।

অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে তিনি শরিয়তের খেদমত করেছেন। সর্বসম্মতিক্রমে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে সুন্নীজনতার অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। আবার তরিক্বতের সংস্কারও করেছেন। ‘তরিক্বা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া’ কে বৈশ্বিক রূপদান করেছেন। আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এ তরিক্বার মহৎ দর্শনকে পরিচিত করেছেন।

এ ব্যাপক দায়িত্বের মাঝেও তিনি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের পতাকাকে গৌরবের সাথে বিশ্বসভায় তুলে ধরেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের যে কোন প্রয়োজনে, দূর্যোগে-সংকটে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত।

মানবতার জন্য তিনি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। অসহায় মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য তিনি টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। রিকশা, অটোরিকশা, সেলাই মেশিন বিতরণ করে তাদের ভাগ্যোন্নয়নের চেষ্টা করেন।

তার মানবিক সমাজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই ‘হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। শিক্ষাবৃত্তি, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ত্রাণ বিতরণ, আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ ৫০টিরও বেশি মানবসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

দ্বীন ও তরিকতের খেদমতে তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকাহ্ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনিই প্রথম মাইজভাণ্ডার শরীফে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৮৮ সালে। তিনি তরিকতপন্থীদেরকে শরীয়তের ওপর অটল থাকার ওপর জোর দেন। মাইজভাণ্ডার শরীফের আশেকদেরকে টুপি পড়তে নির্দেশ দেন। তরিকতের নাম ব্যবহার করে যারা শরীয়তবিরোধী হারাম কাজে যুক্ত, তাদেরকে কঠোরভাবে দমনে তিনি সংগ্রাম করেছেন।

অর্থাৎ শরীয়ত, তরিক্বত, সুন্নীয়ত, দেশ ও মানবতা এ পাঁচটি ক্ষেত্রে তিনি অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। সে কথা আমার নয়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সনামধন্য সংস্থা ও ব্যক্তিবর্গের স্বীকৃতি।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানফ্রান্সিসকোতে, ‘International Association of Sufism’ আয়োজিত ‘International Sufi Symposium” এ বিশ্বের শীর্ষ সুফি সাধক, ইসলামি স্কলার ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষকগণ তাকে ‘Sheikhul Islam’ উপাধিতে ভূষিত করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি আজীবন সুফিজম বিষয়ক এ বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থার Honorable Advisor বা সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন।

২০০০ সালের ২৮-৩১ আগস্ট, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে United Nations বা জাতিসংঘের সদরদপ্তরে বিশ্বের শীর্ষ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের নিয়ে আয়োজিত ‘The Millennium World Peace Summit’ এর পেনালিস্ট স্পিকার হিসেবে তার অংশগ্রহণ, বক্তব্যে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় “The Charter of Madinah” বা “মদীনা সনদ” এর তাৎপর্য তুলে ধরা, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে উপস্থিত সকলকে নিয়ে প্রিয় নবিজী (দ) এর প্রতি সালাতু সালাম পাঠের মত তার বিরল অর্জনই প্রমাণ করে, তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি নেতা ও যুগশ্রেষ্ঠ আধ্যাত্নিক সাধক।

একই বছরের সেপ্টেম্বরে মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের তাসখন্দে বিশ্বের শিক্ষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিষয়ক শীর্ষ সংস্থা UNESCO আয়োজিত ‘International Workshop on Sufism’ এ তিনি প্যানেলিস্ট স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, যা একজন সুফি হিসেবে তার মর্যাকে সত্যায়িত করেছে। এমনকি ‘Taskent Islamic University’ তাকে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করে।

২০০৫ সালে Gold Coast খ্যাত আফ্রিকা মহাদেশের দেশ ঘানার রাজধানীতে ঘানা জাতীয় কাউন্সিল ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক ইসলামি সংস্থা, ‘Universal Islamic Centre’ তাকে ‘The Grand Ambassador for Islam and Universal Peace’ অর্থাৎ ‘ইসলাম ও বিশ্বশান্তির দূত’ হিসেবে ভূষিত করে।

একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই দেশের শীর্ষ পর্যায় ও রাজনৈতিক মহলে তার পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তবে তিনি কোন স্বার্থে জড়িত না হয়ে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবছর মহান ১২ই রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ) এর সমাবেশে তিনি দল-মত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অতিথি হিসেবে দাওয়াত দিতেন। এভাবে ভিন্ন মতের মাঝে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে একটি যোগসূত্র স্থাপন করতেন।

সুফিবাদের জন্য অবদান এবং দেশের পতাকাকে বিশ্বসভায় সম্মানের সাথে উড্ডীন করার জন্য, ২০০৩ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে “বাংলাদেশ সুফি মজলিশ” আয়োজিত সম্মেলনে, বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে “বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সুফি” সম্মাননা পদক গ্রহণ করেন।

বিশ্বের সকল শীর্ষ সুফি দার্শনিকদের সাথে তার সুসম্পর্ক ও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আবার বাংলাদেশের পীর মাশায়েখ, আলেম ওলামাদেরও তিনি ছিলেন মধ্যমণি। ১৯৮৮ সালে উপমহাদেশের বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে ১১০০০ এরও বেশি দেশের শীর্ষস্থানীয় সুন্নী পীর মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরামগণ তাকে “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত”র প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন।

তিনি ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। সকলকে তিনি এক স্থানে এনে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সক্ষম হন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, হযরত সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (কঃ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ) ও শাহাদাত-এ-কারবালা মাহ্ফিল প্রতিষ্ঠায় প্রধান ও অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া’ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয়োজন করে আসছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশও আয়োজন করছে।

মহাকালের কাছে পৃথিবীর সবকিছু অসহায় আত্নসমর্পণে বাধ্য হয়। সেই অজেয় মহাকালকেও জয় করেছেন হযরত সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী (কঃ)। মহাকাল পরাজয় বরণ করে মহাপুরুষদের কাছে। কারণ তাদের মহৎ কর্ম অবিনশ্বর। তাদের স্মরণকে, পৃথিবীর চিরায়ত বিধানও বিস্মৃত করতে পারে নি। তাই তারা চিরঞ্জীব সত্তা হয়ে বেঁচে থাকবেন কোটি মানুষের হৃদয়ে, ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম লেখা থাকবে সোনালি হরফে।

যাকে লেখনীতে, ভাষায়, বর্ণনায় তুলে ধরা অসাধ্য, সেই ক্ষণজন্মা মহাত্মা, নবীকরিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ৩০তম পবিত্র বংশধর, শায়খুল ইসলাম, ত্বরীকা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার মহান দিকপাল, ইমামে আহলে সুন্নাত, বিশ্বশান্তির দূত, হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরাতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্সূফি সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী (কাদ্দাসাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ), ১৭ রমজান,১৪৩২ হিজরী, ঐতিহাসিক বদর দিবস, ২ ভাদ্র ১৪১৮ বঙ্গাব্দ, ১৭ আগস্ট ২০১১ খ্রিস্টাব্দে নশ্বর এ ধরণীকে বিদায় জানিয়ে আপন স্রষ্টা, মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামিনের প্রেমময় সান্নিধ্যের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করেন।

আজ পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষ তার অবদানকে স্মরণ করছে৷ শান্তি-সম্প্রীতিপূর্ণ মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন আমাদেরকে তিনি দেখিয়েছেন, আমরা যেন সে লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারি এবং নিজেদের জীবনে তার আদর্শের প্রতিফলন ঘটাতে পারি, মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে শক্তি দিন। আমিন।

লেখক : সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী, সাজ্জাদানশীন- মাইজভান্ডার দরবার শরীফ

Last Updated on June 26, 2023 6:50 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102