কুমিল্লায় মাদরাসার ছাত্রের মৃত্যু রহস্য ঘনিভূত হচ্ছে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে ওই ছাত্রের নিখোঁজ ও পরে মাদরাসার টয়লেট থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ছাত্রের পরিবার অমিল খুঁজে পাচ্ছেন।
কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার টয়লেট থেকে বুধবার রাতে হিফজ বিভাগের ছাত্র তাওহীদ হোসেনের (১২) লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।তাওহীদের বাড়ী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পৌর এলাকার রামরায় গ্রামে। নিহত তাওহীদ খোরশেদ আলমের একমাত্র ছেলে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি তাওহীদকে হত্যা করে টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাতে মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সাথে তাওহীদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এক ছাত্র। ওই ছাত্র পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ খবর দিলে তারা থানায় জানালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে এলাকাবাসী ও পরিবারের দাবি, তাওহীদকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার শরীরের কোমরসহ বিভিন্ন স্থানে থেতলানোর মত কালো দাগ দেখা রয়েছে।
মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি তাওহীদ আত্মহত্যা করেছে। বুধবার দুপুর ২ টায় সে ওয়াশরুমে গিয়েছিলো। অনেক খোঁজার পর রাত ৮ টায় আরেক ছাত্রের মাধ্যমে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে সে বাথরুমে আত্মহত্যা করেছে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ওই বক্তব্য সাজানো দাবি করে নিহত তাওহীদের পরিবার জানায়, একজন শিক্ষার্থী ৬ ঘন্টা নিখোঁজ, এই বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নজরে আসলো না। এছাড়া দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে কেউ কী ওই টয়লেট ব্যবহার করে নি? এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাওহীদের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মারকাজুন নুর ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার পরিচালক নজির আহমেদ ফাহিম বলেন, ‘নিউজ করে লাভ কী? আপনারা কী টাকা পাবেন, শুধু শুধু আমাদের মাদরাসার সুনাম নষ্ট করছেন।’
কুমিল্লা কোতওয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া থানায় এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Last Updated on November 7, 2024 6:53 pm by প্রতি সময়