কুমিল্লার মুরাদনগরে রাবেয়া আক্তার (১৫) নামের এক কিশোরীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের ধারণা প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে, তাহলে ওই কিশোরীর সঙ্গে কার ওইধরণের সম্পর্ক ছিল এতথ্য লাশ উদ্ধারের দীর্ঘসময় পরও পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। এমনকি গণমাধ্যমে ওই কিশোরীর পরিবারের কেউই প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে মুখ খুলছেন না।
শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) সকালে কুমিল্লার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউসুফনগর গ্রামের দক্ষিন পাড়ার নিজ ঘর থেকে রাবেয়া আক্তার নামের ওই কিশোরীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার শরীরে কামিজ থাকলেও শরীরের নিম্নাঙ্গ ছিল বিবস্ত্র।
মুরাদনগর থানার সি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকান্ড হতে পারে। তবে হত্যাকারী শনাক্ত করতে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত বারোটার পর থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
নিহত কিশোরীর বাবা জাকির হোসেন এরশাদ বিদেশে চাকরি করেন। বর্তমানে তিনি ছুটিতে দেশে আছেন। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কী কারণে আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে আমি জানিনা। আর এতটুক একটা মেয়ের সঙ্গে কার শত্রুতা আছে জানিনা। আমার মেয়েকে যে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে এটা একজনের কাজ নয়, খুনি একের অধিক হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের সঙ্গেই রাবেয়া বড় ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। আমাদের আলাদা আরেকটি ছোট ঘর রয়েছে। ওইটিতে সে ঘুমায় না। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি ঘরে মেয়ে নেই। তারপর ওই ছোট ঘরে গিয়ে দেখি খাটের ওপর তার গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। তখন আমাদের চিৎকারে আশপাশের স্বজনরা ছুটে আসে। তখন পুলিশে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুমিল্লা মেডকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। আমার মেয়েকে যরা নৃশংসভাবে খুন করেছে আমি তাদের গ্রেফতার দাবি করছি।’
Last Updated on August 30, 2024 7:24 pm by প্রতি সময়