কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় একটি মার্কেটের সেলুনে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে এক ভাঙারী ব্যবসায়ীর পা ও গলা কেটে হত্যার পর পলাতক সেলুন মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার চিতোশী এলাকা থেকে পিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। সে আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকার সুধীর চন্দ্র শীলের ছেলে। পরে তাকে নিয়ে বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় পিবিআই।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করবে বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ময়নামতি টিপরা বাজার আজাদ মার্কেটের লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে এক সেলুনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে। পর দিন শুক্রবার রাতে সেলুনে রাখা একটি বস্তা থেকে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দেলোয়ার হোসেন (২৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জানান, ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের কাছে সেলুনের মালিক লহ্মন চন্দ্র তিন লাখ টাকা পেতো। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে দেলোয়ার বিলম্ব করায় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। ঘটনার রাতে দেলোয়ারকে ফোন করে সেলুনে আনে লহ্মন। পরে বিভিন্ন কথাবার্তা হয়। পরে দেলোয়ারের শরীর প্রায় এক ঘন্টা যাবত মেসেজ করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বস্তায় ভর্তি করে লাশ সেলুনের ভেতর ফেলে রেখে ভোর রাতে দোকানের সাার্টারে তালা লাগিয়ে তার আমতলি বাড়িতে এসে গোসল সেরে চলে যায়। এর আগে দেলোয়ারের মোবাইল ফোন দুইটি ঘরের অদূরে মাটিতে পুতে রাখে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রবিবার দুপুরে মনোহরগঞ্জ থেকে সেলুনের মালিক লহ্মণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল ও তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির অদূরে মাটির নিচ থেকে দেলোয়োরের দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 22, 2021 9:22 pm by প্রতি সময়