- প্রথমদিনে কুমিল্লা নগরীতে কড়াকড়ি" />
সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথমদিনে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) কুমিল্লা নগরীর রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। রাস্তায় অল্প কিছু রিকশা, জরুরি পরিষেবার মোটরযান ও মোটরসাইকেল আরোহীর চলাচল দেখা গেছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি নগরীর সকল মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচা বাজার সড়কের পাশে খালি জায়গায় বসানো হয়েছে।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লাবাসীকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লাবাসীকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে কুমিল্লা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার।
তিনি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষজনকে অতি প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে বাড়ি ফিরিয়ে দেন ও পরিষেবার বাইরে যেসকল যানবাহন নগরীর রাস্তায় বের হয়েছে এসব যানবাহনকে ফিরিয়ে দেন। জরুরী কাজে বের হওয়া মানুষজন মাস্ক ব্যবহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এমপি বাহার কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ ও চকবাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন। তিনি মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যসামগ্রী খোলাস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এবং বাজার কমিটিকে এসব ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান।
কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু এরিয়া পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা টাউন হলে সাংবাদিকদের এমপি বাহার বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবন বাচাঁতে লকডাউন দেওয়া হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রামন রোধে সকলকে নির্দেশনা মতো স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তিনি বলেন, সকল গণপরিবহন বন্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা থেকে কোন গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে না। জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হওয়া মানুষজন প্যাডেল চালিত রিক্সা ব্যবহার করতে পারবেন। সে জন্য কিছু প্যাডেল চালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অটো ও মোটর চাািলত রিকশা বন্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়াতে বলেন। হোটেল বেকারিগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্সেল সার্ভিস দিতে পারবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন মোঃ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সোহান সরকার, কুমিল্লা কোতয়াল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
এদিকে সকাল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি নগরীতে টহল অব্যাহত রেখেছে।নগরীর কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন্স, টমছমব্রীজ, রাজগঞ্জ, চকবাজার, তেলিকোনা মোড়, পদুয়ার বাজার এলাকায় মোটরযানগুলোকে পুলিশি চেকপোস্টে চলাচলের যথাযথ কারণ ব্যাখ্যা করতে হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলে মামলা দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট গাড়ির বিরুদ্ধে। রাস্তায় চলাচলকারী মানুষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া না হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে সরিয়ে দেয় এবং সতর্কও করে। রাস্তায় বেরুনো মুখে মাস্কবিহীন লোকজনকে বেশি নজরে রাখে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on July 1, 2021 6:32 pm by প্রতি সময়