শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে স্বস্তি ফিরেছে সড়ক, মহাসড়কে। কুমিল্লার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনে টোকেনের মাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। সড়ক মহাসড়কের এসব টোকেন চাঁদাবাজরা এখন লাপাত্তা। এতে চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যাত্রী ও সাধারণ পথচারী।
রোববার (১১ আগস্ট) কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়, টমছমব্রিজ, রাজগঞ্জ, শাসনগাছা,জাঙ্গালিয়া, পদুয়ার বাজার এবং মহাসড়কের আলেখারচর ও কোটবাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সিএনজি চালিত অটো রিকশা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে জিবির টোকেন দিয়ে টাকা নেওয়া চাঁদাবাজদের দেখা মিলেনি।
সিএনজি অটো রিকশা চালক জাকির হোসেন বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা যেভাবে সড়ক নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সত্যিই অসাধারণ। সারা দিনে কোথাও কোনো রকমের চাঁদা দিতে হয় নাই। এই ধারাটা যেন অব্যাহত থাকে।
নগরীর ঈদগাহ এলাকার অস্থায়ী স্ট্যান্ডের সিএনজি অটোরিকশাচালক কামরুল হোসেন জানান, ঈদগাহ থেকে সিএনজি ছাড়লে ৫০ টাকা, ফকিরবাজার গেলে ২০ টাকা, শংকুচাইল ছিল ২০ টাকা এবং বাগড়া সিএনজিস্ট্যান্ডে দিতে হতো ৫০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে দেড় শ টাকা চাঁদা দিতে হতো। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আর কেউ চাঁদা নিতে আসে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সাকিব হোসেন জানান, যতগুলো দাবি ছিলো তার মধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিলো পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধ করা। শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে কাজ করছেন। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যারাই দায়িত্ব পালন করবেন তারা যেন চাঁদাবাজি বন্ধের এ ধারা অব্যাহত রাখেন।
Last Updated on August 11, 2024 3:59 pm by প্রতি সময়