শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে 'বিজয়ের উল্লাসের' পর এবার 'ক্ষোভের আগুনে' পুড়ছে কুমিল্লা। কুমিল্লা সদরের এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারের বাসভবন, পুলিশ লাইন্স, মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বেশ কিছু স্থাপনায় আগুন দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধরা।
নগর জুড়ে তৈরি হয় অরাজকতা। উল্লাসের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। শুধু কুমিল্লা নগরী নয়, আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ও উপজেলাতেও ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লা নগরীর অন্তত তিনটি স্থান থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুনের ধোয়া দেখা গেছে আকাশ জুড়ে।
সোমবার ৫ আগস্ট বিকাল তিনটার পর থেকেই খবর আসতে থাকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন ও দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এমন খবরে গত এক মাস ধরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী সহ বিএনপি নেতাকর্মী ও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ জমে থাকা কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ জড়ো হতে থাকেন প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় এলাকায়। লাল সবুজের পতাকা হাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো কান্দিরপাড়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত।
উল্লাসে মাতোয়ারা জনতার স্রোত থেকে একটি অংশ প্রথমেই রামঘাটস্থ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এরপর কার্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই অপর একটি অংশ নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় এমপি বাহারের বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পাশাপাশি কান্দিরপাড় এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা, পুলিশ বক্সে ভাঙচুর, আগুন দেওয়া হয়। বিকেল থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরদের কার্যালয় ও বাসভবনে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ লাইন্স এলাকায় ধোয়ার কুন্ডলী দেখা যায় আকাশ জুড়ে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা পুলিশ লাইন্সেও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এছাড়াও এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পদুয়ার বাজার ওভারব্রিজ, দেবিদ্বার উপজেলা সদর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম