মেয়ে সঙ্গা ও ছেলে সপ্তক দেশে ফিরে এলেই মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে হেরে যাওয়া কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের শেষ বিদায়ের করুণ সুর বেঁজে ওঠবে।
এন্ড্রু কিশোর ও তার চিকিৎসক স্ত্রী লিপিকার মেয়ে সঙ্গা (২৬) ও ছেলে সপ্তক (২৪) অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন।
এন্ড্রু কিশোরের শেষ ইচ্ছে মতে তাকে তার মায়ের পাশেই সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পীর বন্ধু ড. দ্বীপকেন্দ্র নাথ। তিনি জানান, এন্ড্রুর দুই সন্তান সঙ্গা ও সপ্তক অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরলে তাদের বাবার মরদেহ সমাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হিমঘরেই থাকবে।
১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন এন্ড্রু কিশোর। তার বাবার নাম খিতিশ চন্দ্র বাড়ই। মা মিনু বাড়ই। রাজশাহীতেই কেটেছে এন্ড্রু কিশোরের শৈশব ও কৈশোর।
গানের টানে মুক্তিযুদ্ধের পরপর তিনি রাজধানী ঢাকায় নিয়মিতভাবে বসবাস শুরু করেন।
ক্যান্সারে আক্রান্তের পর টানা নয় মাস সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১১জুন সিঙ্গাপুর থেকে চলে আসেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর রাজশাহীতে নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন।
সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজশাহীতে তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, এই চোখ দুটো মাটি খেয়ো না, আমি মরে গেলেও তারে দেখার সাধ, মিটবে না গো মিটবে না’.. ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, যা কিছু দেখার নাও দেখে নাও, যা কিছু বলার যাও বলে যাও, পাবে না সময় আর হয়তো’…এরকম হৃদয় ছোঁয়া হাজারো গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ঢালিউডের প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর বেঁচে থাকবেন এদেশের লাখো কোটি ভক্তের হৃদয়ে।
Last Updated on July 8, 2020 11:45 am by প্রতি সময়