মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বুড়িচংয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু মুরাদনগরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে পাঠদান চলছে খোলা জায়গায় দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সোনালি স্মারক কাগতিয়া কামিল এম.এ. মাদরাসা হোটেল ডায়নার ওয়েটার তফাজ্জল দুই বার বিসিএসে উত্তীর্ণ কন্যার গর্বিত পিতা ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সচেতন ভূমিকা রাখার আহ্বান হাসনাতের চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাড়ে ৬ লক্ষাধিক টাকার মৃত্যু দাবির চেক পেলেন নমিনী দেলোয়ার ও নাজমুলের নেতৃত্বে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুব অধিকার পরিষদ কৃষি উদ্যানে কৃষিশিক্ষার ব্যবহারিক ক্লাস করলো কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই : কুমিল্লার সম্মেলনে আমিরে জামায়াত এক ময়লার ভাগাড়ে ‘নরক যন্ত্রণায়’ দশ গ্রামের মানুষ * রিসাইক্লিং ব্যবস্থা না থাকায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ * সুখবর নেই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মীরাই পারে একটি বৈষম্যহীন কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখতে সার্কের আলোকে এই উপমহাদেশের রাজনীতি চলবে: বরকত উল্লাহ বুলু স্বৈরাচারী হাসিনা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে কুমিল্লার মেঘনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ ৫ জন গ্রেফতার স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্য করার স্বপ্ন দেখেছিল ভারত : বিএনপি নেতা হাজী ইয়াছিনন কুবি’র গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী সাফিন গ্রেফতার কুমিল্লার অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো যেন মরণফাঁদ কুমিল্লা নামেই বিভাগ হবে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে ডাকাতির প্রস্তুতি, তিনজন গ্রেফতার

সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষক

তুষার ইমরান, কুবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৩ দেখা হয়েছে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যপন্থি দুই শিক্ষকের মধ্যে আন্তঃকোন্দলের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিচার পাননি দাবি করে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাসকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) কাজী এম. আনিছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পদত্যাগ পত্রে তিনি এ দাবি করেন। উপাচার্যপন্থি অপর শিক্ষক হলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ও সহকারী প্রক্টর আবু ওবায়দা রাহিদ।

পদত্যাগপত্রে আনিছুল ইসলাম দাবি করেন, আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি কাজী আনিছের সাথে উদ্ধত আচরণ করেন। ঈদের ছুটি শেষে ‘অনুমতি নেওয়ার’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ফের বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তী সময়ে ‘সমঝোতা বৈঠকে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন।

 

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কাজী আনিছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইনফরমালি বিচারের জন্য বসছিলাম। সেখানে প্রক্টর ও মিজান স্যার ছিলেন। সেখানে আমি বিচারটা পাইনি। অথচ ঐ সময়ে রাহিদ আমার উপর চড়াও হয়েছে। উপাচার্য স্যারকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। স্যারের বাংলোতেও আমি গিয়েছি। সেখানে আমি সবকিছু খুলে বলেছি। আমি স্যারকে বলেছি, যেহেতু উনি বারবার হুমকি দিচ্ছেন, প্রক্টরিয়াল বডির একটা শক্তি দেখাচ্ছেন, আপনার (উপাচার্যের) একটা ক্ষমতা দেখাচ্ছেন বিভিন্নভাবে, তো আমি শঙ্কিত বোধ করছি। আমি যদি এখন উনার সাথে বসে প্রক্টরিয়াল কাজ করি তাহলে পরিবারের প্রতি অশ্রদ্ধা হয়। সেজন্য আমি পদত্যাগ করেছি। এর আগে উপাচার্য স্যারকে আমি একটা দাবি দিয়েছিলাম, তাকে এ জায়গা সরিয়ে আমাকে রাখেন।’

এ বিষয়ে আবু ওবায়দা রাহিদ জানান, ‘আমি ওনাকে মারতেও যায়নি, ওনার পরিবার নিয়ে কোনো বাজে কথাও বলেনি। বরং উনি কথায় কথায় আমাকে অনেক খোঁচা দিয়ে কথা বলেছেন। আমাকে বলেছেন আমার মুখের কথা নাকি আমার জুতার মতো সুন্দর। এরকম অনেক উস্কানিমূলক কথা বলেছেন। উপস্থিত শিক্ষকদের কেউ যদি বলে আমি ওনার সাথে আমি বাজে আচরণ করেছি আমি মেনে নিব। আর ঐ ল্যাবের রুম ফাঁকা থাকায় ও ল্যাবের যন্ত্রপাতি প্যাকেট বন্দি থাকায় আমরা কক্ষটি নিয়েছিলাম। তাছাড়া রুমটি পেতে কাজী আনিছ স্যার কে মেইল করেছি এবং মেইলের কোনো উত্তর পাইনি। দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার পর তিনি হুট করেই নিজের কথা বলার সুর পাল্টে ফেলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ওনার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার কারণে উনাকে বলেছিলাম,’ যারা এই গ্রুপটাকে বিলং করত, তারা আপনার জন্য চলে গেছে। আপনি আইনুল স্যার, লতা ম্যাডাম, হাসিনা ম্যাডাম, আইন বিভাগের শিক্ষকদের সাথে বাজে আচরণ করার কারণে উনারা চলে গিয়েছেন। ‘

 

এদিকে উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে ৩ দফায় ক্লাস বর্জন করে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রায় ১২ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। এবার নতুন করে পদত্যাগ করছেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরাও।

Last Updated on April 24, 2024 7:10 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102