কুমিল্লায় সিএনজি অটোরিকশা চালক কে জবাই করে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই মামলায় অপর একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া, মৃত আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া এবং একই উপজেলার নয়কামতা গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া। সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে আবুল বাশার (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সুমন মিয়া ও মো. সোহেল মিয়া এবং সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল বাশার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুপস্থিত ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি মো. শিহাব মিয়া।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সিএনজি অটোরিকশা চালক নাজমুল হাসান কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলার মধ্যমতলা গ্রামের আবদুর রবের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি এডভোকেট মো. জাকির হোসেন জানান, আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের ওই আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে বলেন, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নাজমুল হাসান কে জবাই করে মেরে তার বাহনটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে খোঁজ নিয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া কে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত চালকের পিতা আবদুরর রব। মামলা দায়েরের পর পুলিশ মুল আসামি সুমন ও তার সহযোগী আবুল বাশার কে গ্রেফতার করে। আদালতে তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।
পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. নজরুল ইসলাম ঘটনার তদন্তক্রমে আসামি মো. সুমন মিয়া, শিহাব মিয়া, মো. সোহেল মিয়া ও আবুল বাশারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
# রিপোর্ট : নাসরিন আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার
Last Updated on March 6, 2024 4:06 pm by প্রতি সময়