রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ফ্যাসিস্ট কুৎসিত লোকগুলো যেন সংসদে প্রবেশ করতে না পারে : ড. বদিউল আলম মজুমদার কুমিল্লা নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর অভিযান সফলভাবে শেষ হলো কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের তিন দিনব্যাপী কক্সবাজার শিক্ষাসফর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা কবির শিকদার গ্রেফতার লালমাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পুলিশ বলছে ঘটনাটি সন্দেহজনক কুমিল্লায় গ্যাস সংকট : এলপিজি সিলিন্ডার ও ইলেকট্রিক চুলায় প্রতিমাসে বাড়তি খরচ সদর দক্ষিণে শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি মেহরাজের মৃত্যুদণ্ড কুমিল্লা নগরীতে সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ দুইজন আটক কুবিতে রকিব-মাসায়িদের নেতৃত্বে টাঙ্গাইলের বন্ধন প্রথম আলো বন্ধুসভা কুমিল্লা জেলা কমিটির পরিচিতি সভা কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে আট বছরে ১২ খুন কুমিল্লায় ডিসেম্বরে সাত খুন সহ ৩৯৯টি বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মামলা মুরাদনগরে প্রধান শিক্ষক ময়নাল হোসেনকে আবেগঘন পরিবেশে অবসরজনিত বিদায় শীতার্তদের মাঝে রোটারি ক্লাব অব কুমিল্লা রয়েলের কম্বল বিতরণ নিষিদ্ধ, তবুও তিন চাকার দখলে মহাসড়ক কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদেশি পিস্তলসহ যুবক আটক কুবির নারায়ণগঞ্জ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লাকসামে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করতে যাচ্ছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের রিইউনিয়ন চান্দিনায় এশিয়া এয়ারকন বাসের ধাক্কায় দরজাখোলা মারুতির এক শিশুর যাত্রী নিহত

সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করলো অবন্তিকা 

প্রতিসময় রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৪ দেখা হয়েছে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুকে নিজের আইডিতে সুইসাইড নোট পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা।

 

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত দশটার দিকে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন। ফেসবুক পোস্টটি তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নজরে আসার পর কিছুক্ষণ পরই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার নিথর দেহ নামিয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

ফাইরোজ সাদাফ অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

 

কুমিল্লা জেনারেল হাসপালের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল করিম খন্দকার বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেও স্বজনদের আকুতির কারণে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।

 

শনিবার দুপুরে জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে বাগিচাগাও কবরস্থানে অধ্যাপক পিতার পাশেই দাফন করা হয়।

 

ফাইরুজ অবন্তিকা ফেসবুকে পোস্ট করা সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেছেন। আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে তিনি হয়রানি এবং হুমকি দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেছেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন।

 

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই লোকজন ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্ত তদন্তের শেষে লাশ পরিবারের আছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এদিকে ফেসবুক পোস্টে ফাইরুজ অবন্তিকা লিখেছেন.. ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট (সহপাঠী) আম্মান সিদ্দিকী, আর তার সহকারী হিসেবে তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে তাকে সাপোর্টকারী (সমর্থনদাতা) জগন্নাথের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন ও অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখত, সেবিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। দ্বীন ইসলাম আম্মানের হয়ে আমাকে নানাভাবে ভয় দেখায়, আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি, এখানে কোনো জাস্টিস পাব না। কারণ দ্বীন ইসলামের অনেক চামচা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। এই লোককে আমি চিনতামও না। আম্মান আমাকে সেক্সুয়ালি এবিউজিভ কমেন্ট (যৌন নিপীড়নমূলক মন্তব্য) করায় আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে দেখে নেওয়ার জন্য দ্বীন ইসলামের শরণাপন্ন করায়। আর দ্বীন ইসলাম আমাকে তখন প্রক্টর অফিসে একা ডেকে গালিগালাজ করে। সেটা অনেক আগের ঘটনা হলেও সে এখনও আমাকে নানাভাবে মানহানি করতেসে বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন কথা বলে। আর এই লোক কুমিল্লার হয়ে কুমিল্লার ছাত্র কল্যাণের তার ছেলেমেয়ের বয়সী স্টুডেন্টদের মাঝে কী পরিমাণ প্যাঁচ ইচ্ছা করে লাগায়, সেটা কুমিল্লার কারো সৎসাহস থাকলে সে স্বীকার করবে। এই লোক আমাকে আম্মানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাতবার প্রক্টর অফিসে ডেকে নেয়। কোথায় এই লোকের কাজ ছিল গার্ডিয়ান হওয়া, আর সে কিনা শেষমেশ আমার জীবনটারেই শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি দিল না। আমি উপাচার্য সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে বিচার চাইলাম।’

 

অবন্তিকা আরো লিখেন, ‘আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এত ভালোবাসে যে মানুষ, সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে। আমি জানি এটা কোনো সলিউশন না, কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিতেসে না বিশ্বাস করেন। আমি ফাইটার মানুষ। আমি বাঁচতে চাইসিলাম! আর পোস্ট মর্টেম করে আমার পরিবারকে ঝামেলায় ফেলবেন না। এমনিতেই বাবা এক বছর হয়নি মারা গেছেন, আমার মা একা। ওনাকে বিব্রত করবেন না। এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার। আর আম্মান নামক আমার ক্লাসমেট ইভটিজারটা আমাকে এটাই বলছিল, আমার জীবনের এমন অবস্থা করবে যাতে আমি মরা ছাড়া কোনো গতি না পাই। তা-ও আমি ফাইট করার চেষ্টা করসি। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সহ্য ক্ষমতার।’

Last Updated on March 16, 2024 4:48 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102