চারপাশে ফসলের মাঠ। মাঝখানে খাল। তার ওপর ঠায় দাঁড়িয়ে আছে একটি সেতু। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছে না সেতুটি।ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে।গত দুই বছর ধরে সেতুটি এভাবে সংযোগ সড়ক বিহীন পড়ে থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। কয়েক মাস আগে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো সেতুর সঙ্গে যুক্ত করে খালের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে।
বলছি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামের রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়কের রোয়াচালা দক্ষিণ পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ীর পাশের খালের ওপর দুই বছর আগে নির্মিত সেতুর কথা।
দুই বছর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচীর অধীন সেতুটি নিমার্ণ করা হয়। সেতু নিমার্ণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয় । যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সেতুটি নির্মান করা হলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই কাজ শেষ করে দেন।
শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ইকবাল বাহার মুঠোফোনে জানান, সেতুর দুই পাশে খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল তা দিয়ে কাজটি করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য মাটি আনা যাচ্ছে না। পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে সেতুর সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে।
মুরাদনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পটি আমার আওতায় না। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে সড়কের সাথে সেতুর সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।
Last Updated on August 19, 2023 10:49 pm by প্রতি সময়