স্বাস্থ্যই সম্পদ।শারীরিক সুস্থতার জন্য আমরা অনেকরকম পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকি। এরমধ্যে কচু শাক পুষ্টিগণে ভরপুর একটি সবজি। এনিয়ে ‘প্রতিসময়’ এর স্বাস্থ্য পাতায় সোমবার ও বুধবারের আয়োজনে আজকের বিষয়…
কচুশাক খুবই পরিচিত একটা খাবার। সবার পরিচিত এই কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ।কচুশাক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়াও বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও অনেক বড় ভূমিকা রেখে আসছে। কচুশাকে পর্যাপ্ত আঁশ থাকায় মানুষের দেহের পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়ায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধ করতে কচুশাকের জুড়ি নেই।
কচুশাকের পুষ্টিগুণ : কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশক্তি এবং ভিটামিনে ভরপুর। সাধারণভাবে ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রথমে বলতে হবে কচুর ডগা এবং কালো রঙয়ের কচু শাকে আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে যা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। সাধারানত রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচুশাক খাওয়া একরকম আবশ্যক বললেই চলে। সাধারণত যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, বিশেষ করে তাঁরা প্রচুর পরিমাণে কচুশাক খেতে পারেন। কারণ এই কচু শাকে আছে অনেক আঁশ। এই আঁশ খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে থাকে। আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় রাখতে কচু শাকের জুড়ি নেই।শুধু কি তাই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কচুশাক দারূণ ভূমিকা রাখে।
কচু শাকের উপকারিতাঃ
১. কচুশাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা আমাদের রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
২. কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এর লৌহ উপাদান আপনার দেহে সহজে আত্তীকরণ হয়ে যায়।
৩. কচুশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, যা দেহের বৃদ্ধি ও কোষ গঠনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। কচু শাকের ভিটামিন কোষের পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
৪. ভিটামিনযুক্ত এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ, যা অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে। পরিপাকক্রিয়াকে পুরপুরিভবেই ত্বরান্বিত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫. এই শাকের আয়রন ও ফোলেট রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
৬. এই শাকের সবথেকে বড় উপকারিতা হল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফসফরাস। আমাদের দাঁত ও শরীরের হাড়ের গঠনে এবং ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে এসব উপাদানে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. সাধারণত বাচ্চাদের জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধ কচু খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। আবার বড়দের ক্ষেত্রে এটা খুব কার্যকরী। শুধু তাই নয় অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওল কচুর রস উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয় এবং এতে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: eHaspatal.
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং ভিডিও খবর দেখতে protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on October 7, 2020 2:05 am by প্রতি সময়