জমে উঠেছে আমন ধানের চারার হাট। বিক্রেতাদের হাঁকডাকে আর ক্রেতাদের দরদামে মুখরিত চিরচেনা হাটগুলো। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মিরপুর সড়কের সাহেবাবাদ, বড়ধুশিয়া, মালাপাড়া ও দুলালপুর হাটে আমন ধানের চারা বেচাকেনার এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আমনের বীজতলা তৈরিতে সংকট দেখা দিয়েছিল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। ফলে অন্য বছরের তুলনায় এবার রোপা আমন ধানের চারা বেচাকেনা তুলনামূলক বেশি হচ্ছে বলে জানান আমন চারা বিক্রেতারা।
এ বছর রোপা আমন মৌসুমে বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। ফলে যথাসময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারেনি অনেক কৃষক। ভাদ্রের শেষে বৃষ্টিতে জমি তৈরি ও জমিতে ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা এরই মধ্যে আমনের চারা কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন হাটগুলোতে।
চারা বিক্রেতা কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমি প্রতি আমন মৌসুমে ৪২ শতক জমিতে বীজতলা তৈরি করি। নিজের জমি রোপণ শেষে অবশিষ্ট চারাগুলো বিক্রি করে থাকি। এ বছর আমন ধানের চারার চাহিদা একটু বেশি।
এদিকে চলতি আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অনায়াসেই অর্জিত হবে বলেও আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহবুবুল হাসান বলেন, এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির সময় আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। যে কারণে বীজ তলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বীজ তলার ঘাটতি পূরণেও আমরা আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছি। আমন রোপণে চারার ঘাটতি হবে না। আমন চাষ উপযোগী আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ উপজেলায় আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেও আশা করছি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম