
কুমিল্লার হোমনায় খেয়াপারের অপেক্ষায় থাকা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আপন দুই বোন রয়েছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, খোদেদাউদপুর গ্রামের নাহিনুর ইসলামের ছেলে ময়মনসিংহ ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম (২৩), নালা দক্ষিণ মধ্য পাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের মেয়ে আপন দুই বোন মমতাজ বেগম (৩৭) ও জাকিয়া সুলতানা (২৩)। আহত অটোরিকশা চালক ছামাদ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দুপুরে তিনজন ভবানীপুর খেয়াঘাটে খেয়া পার হওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মমতাজ বেগম ও জাকিয়া সুলতানা মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় রাশেদুল ইসলামকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শিক্ষার্থীর চাচা শফিক মিয়া বলেন, ভাতিজা আজ সকালে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাই।
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রণব কুমার দেবনাথ বলেন, বজ্রপাতে আহত অবস্থায় এক যুবককে আনা হলে পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আইনি প্রক্রিয়াশেষে লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।