কুমিল্লার বিদ্যুৎ কর্মকর্তার হাতে বকেয়া বিলের ৩৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর #
প্রায় ১৯ মাস অন্ধকার থাকার পর এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে আলো জ্বলে উঠলেও ১৭ বছরের আলোর দেনা থেকে মুক্তি মেলেনি ওই সময়। অবশেষে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার প্রায় আট মাসের মাথায় দেনা মুক্তির চেক আসে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তার হাতে। কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ১৭ বছরের পাওনা ৩৪ লাখ টাকা পরিশোধ হওয়ায় স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন একাডেমি কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল্লাহর হাতে ৩৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ।
২০১৮ সালের মে মাসে বজ্রপাতে বিকল হয় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নিজস্ব ট্রান্সফর্মার। বিচ্ছিন্ন হয় বিদ্যুৎ। এরপর দীর্ঘ সময়ে দূর হয়নি শিল্পকলা একাডেমীর বিদ্যুৎ সংকট । এর উপর শিল্পকলা একাডেমীর কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের বিশাল অংকের টাকা বকেয়া পড়ে। সবমিলে যখন চরম সংকটে কাটছিল কুমিল্লা শিল্পকলার দিনকাল, তখনই এ সংকট সমাধানের দাবী মাঠে নামে শিল্প সংস্কৃতি, রাজনীতি, সামাজিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন।
পরে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার শিল্পকলার সংস্কারসহ সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিউ লেটার প্রদান করেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গেও ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন।প্রায় ১৯ মাস অন্ধকারে থাকার পর এবছরের ১৮ জানুয়ারি ‘মুজিববর্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি কুমিল্লার কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আলো জ্বলে উঠে শিল্পকলা একাডেমিতে। আলো জ্বললেও আলোর বিশাল দেনা থেকে যায় শিল্পকলা কর্তৃপক্ষের মাথার ওপর। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বিষয় নিয়েও ভূমিকা রাখেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ তার ফেসবুক পেইজে কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট চেক হস্তান্তরের তিনটি ছবি পোষ্ট দিয়ে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে লিখেছেন-
‘প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিলের দেনা থেকে মুক্ত হলো কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি….বিশাল এই দেনা থেকে মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ এম.পি, কুমিল্লা-৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, সাবেক সংস্কৃতি সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বর্তমান সংস্কৃতি সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান, কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ হাসান ইমাম মজুমদার ফটিক, পাপড়ি বসু, নাট্যজন শাহজাহান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক শেখ ফরিদ সহ কুমিল্লার সাংস্কৃতিক কর্মী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সকলের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। জেলা শিল্পকলা একাডেমি, কুমিল্লার ভবিষ্যৎ পথচলায় ও উন্নয়নে আপনাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে নিশ্চয়ই। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা গড়ে তুলবো শিল্প-সংস্কৃতি নির্ভর সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ।’
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on September 29, 2020 3:09 am by প্রতি সময়