অবশেষে পুলিশের তালিকাভুক্ত কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।  মঙ্গলবার (২ মার্চ) দিবাগত গভীর রাতে নগরীর উত্তর চর্থা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ (৩ মার্চ) বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে মহিউদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। মহিউদ্দিন নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চর্থা এলাকার তফাজ্জল হোসেন ইদু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা নগরীতে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা, ছিনতাই, অস্ত্র-মাদক, নাশকতাসহ প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে নগরীতে একাধিক ছিনতাই ছাড়াও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র নিয়ে বাসা-বাড়িতে হামলা, নাশকতাসহ আরও অনেক ঘটনা ঘটে। ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পেত না। গত বছরের ২২ জুন রাতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রুমা আক্তার সাথীর বাড়িতে দলবল নিয়ে মহিউদ্দিন গুলি ও হামলা চালায়।

সর্বশেষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন কিছু দিন ধরে নগরীর উত্তর চর্থার নবাব বাড়ি চৌমুহনী এলাকার ছাব্বির আহম্মদ শুভ নামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে। চাঁদা না পেয়ে গত মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাতে মহিউদ্দিন তার লোকজন নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী স্ত্রী নুসরাত ফারহানা লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গভীর রাতে ডিবি ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।

কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘নগরীতে ছিনতাইকারী ও একটি চোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পুলিশের তালিকায় মহিউদ্দিনের নাম ছিল। পরে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিকালে বিজিবি সদস্য রিপন হত্যা, ২০১৪ সালে এক ব্যবসায়ীর ৩১ লাখ টাকা ছিনতাই ও ২০১০ সালে কলেজ শিক্ষকের টাকা ছিনতাইসহ নগরীতে কয়েকটি আলোচিত ছিনতাইয়ের মধ্য দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম ওঠে। তার নেতৃত্বে নগরীতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সৃষ্টি হয়।’

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।