কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, জাতির পিতা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। এই দেশটিকে সবার জন্য বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিলাম।

করোনা মহামারী কারণে আমরা এসব কর্মসূচি স্থগিত করে এ অর্থ অসহায় মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও চিকিৎসা সরাঞ্জাম ক্রয়ে ব্যায় করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনকল্যাণে কাজ করেন। করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা দূর করতে তিনি নানামূখি উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রথম বৃক্ষরোপন অভিযান শুরু করেন। তাঁর পদাঙ্ক অনুসরন করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা এ উদ্যেগ অব্যাহত রেখেছেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনার এ গাছ লাগানোর সুফল দেশবাসী পাবেন। বৃহস্পতিবার ১৬ এপ্রিল গোমতী নদীর পাড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী বাহার এমপি এসব কথা বলেন।

১৬ জুলাই দেশের গনতন্ত্রের জন্য স্মরনীয় দিন উল্লেখ করে হাজী বাহার এমপি আরো বলেন, ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত সরকার এই দিনে নেত্রীকে গ্রেফতার করে গনতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আগামীর সুন্দর পৃথিবী গড়তে ও অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে তিনি গাছের চারা রোপণ এবং পরিচর্যার বিষয়ে সবাইকে যত্ববান হবার আহবান জানান।

এদিকে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায় ৭ লাখ গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগ আয়োজিত গোমতীর পাড়ে শেখ কামাল ক্রীড়া কমপ্লেক্স এর সামনে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম, আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরীন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাজী বাহার এমপি বারী-৪ জাতের একটি আম গাছের চারা এবং জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর একটি বকুল গাছের চারা এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম একটি নিম গাছের চারা রোপন করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে অনান্য অতিথিরা মিলে শতাধিক ফলজ,বনজ ,ঔষধী ও সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষের চারা রোপন করেন।