যে সঙ্গীত বেঁজে উঠলে বাঙালি জাতি সম্মান প্রদর্শন করে সেই সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’….এর রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ।
কুমিল্লায় বিশ্বকবির আগমন, অবস্থান ও তাঁর সাহিত্য কর্ম নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনে আজ ২৫ বৈশাখের এ দিনটি পালন করবে।
কুমিল্লা শহর ও শহরতলীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুইবারের আগমননের মধ্যদিয়ে বেশকিছু স্মৃতি কুমিল্লাবাসীকে এখনও পুলকিত করে। আগরতলা থেকে কোলকাতা যাবার পথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ প্রথম কুমিল্লায় আসেন ১৯০৫ সালের ১৬ জুলাই। এসময় কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে কবিকে বিপুল অভ্যর্থনা জানানো হয়। ওইদিন কবি কুমিল্লা টাউনহলে অভ্যর্থনা সভায় ভাষন দেন।
দ্বিতীয়বার কবি কুমিল্লায় আসেন ১৯২৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। কুমিল্লা অভয় আশ্রমের তৎকালিন সভাপতি ডা. সুরেশ চন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের আমন্ত্রনে আশ্রমের ত্রিবার্ষিক সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য কবি ময়মনসিংহের আঠারো বাড়ি থেকে রাতে কুমিল্লায় এসে পৌঁছান। কুমিল্লায় এটা ছিল কবির শেষ সফর। কবির সঙ্গে সফর সঙ্গি ছিলেন কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পুত্রবধু প্রতিমা দেবী ও তার পালিত কন্যা নন্দিনী, শান্তি নিকেতনের শিক্ষক নেপাল চন্দ্র, কবির কর্ম সচিব কালী মোহন ঘোষ এবং সেক্রেটারি মরিস প্রমুখ। ঢুলিপাড়া অভয় আশ্রম ভবনে কবি স্বপরিবারে অবস্থান করেছিলেন ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কুমিল্লায় তিনদিনের এ সফরে কবিকে কুমিল্লা মহিলা সমিতি, রামমালা ছাত্রাবাস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। কুমিল্লায় তিনদিন অবস্থানকালে কবি শহরের চর্থায় নবাব হোচ্ছাম হায়দারের বাড়িতে মধ্যান্থভোজ, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড এলাকায় অ্যাডভোকেট অখিল চন্দ্রের বাড়িতে প্রাত:রাশ এবং মনোহরপুরে বিশিষ্ট ব্যাংকার ইন্দ্রভূষণ দত্তের বাড়িতে বৈকালিন চা পানে আপ্যায়িত হন। কুমিল্লায় অবস্থানকালে আরও কয়েকটি স্থানে কবিগুরুর পা পড়েছে।
Last Updated on May 8, 2024 8:01 am by প্রতি সময়