শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ভিক্টোরিয়া কলেজ রোভার স্কাউটের ৫০ বছর উদযাপন ছাত্র জনতার বিপ্লবে খুনি শেখ হাসিনার চ্যাপ্টার ক্লোজ : হাবীব উন নবী সোহেল কুমিল্লায় গার্লস স্কুলের ভর্তির লটারিতে বয়েজ! মুরাদনগরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে : ডা. শফিকুর রহমান তাবলিগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম চরমোনাইয়ের উদ্বেগ প্রকাশ লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত কুমিল্লার মুরাদনগরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার অভিযোগ কুমিল্লায় বিজয় দিবসের র‍্যালিতে মানুষের ঢল ফ্যাসিবাদীদের জুলুম নির্যাতনে মানুষ বিজয়ের স্বাদ ভুলে গিয়েছিল : বিএনপি নেতা হাজী ইয়াছিন  চৌদ্দগ্রামে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় যাত্রীবাহী বাসের তিনজন নিহত কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরষ্কার বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যুৎপিষ্টে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার মাঠে আবাহনীকে হারালো মোহামেডান ব্রাহ্মণপাড়ায় ১২ লাখ টাকার অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ দেশবাসী এখন প্রতিটি সেক্টরে আমুল পরিবর্তন চায় : কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহের উদ্বোধন সাংবাদিকদের ঐক্যের পথে ফ্যাসিবাদিরা বাধা হয়ে দাঁড়াত : সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদের অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্রাহ্মণপাড়ায় ফসলি জমির বুকে ভেকু স্কাউটিং একটি সম্পূরক শিক্ষা ব্যবস্থা : রোভার সহচর দীক্ষা অনুষ্ঠানে বক্তারা

আজ মহান বিজয় দিবস : বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন

প্রতিসময় ডেস্ক
  • আপডেট টাইম শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৩ দেখা হয়েছে

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের ৫২তম দিবস। বাঙালি জাতির শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণী দিপৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।টানা ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে আসে নতুন প্রভাত।১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়, হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা।ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয়ের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে

১৯৭১ সালের এদিনে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে।২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়।প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়….।

মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়।বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।

১৯৬২, ১৯৬৯ এবং ১৯৭০ শেষ করে ১৯৭১-এ বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা।

অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার।৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে বাঙালির হজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’

এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ বারুদে বারুদে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ।একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শশ্মান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের খুলী একদিন পাললিক হয়।

মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দু’লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে এক রাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে। আজ এই বিজয়ের ৫২তম বছর আমরা উদযাপন করছি।

Last Updated on December 16, 2023 10:26 am by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102