মার্কেট দখলের বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল কাশেম জানান, পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ভাউকসার পশ্চিম বাজারের পয়ালগাছা সড়কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত ৯ শতক জায়গার উপর নির্মিত ওই মার্কেটের মালিকানা নিয়ে ১৯৯৫ সাল থেকে আদালতে মামলা চলছে প্রতিপক্ষ আবু তাহেরের সঙ্গে। জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আদালতে ১৩টি মামলা চলমান রয়েছে।
আবুল কাশেম বলেন, মার্কেটটি শুরু থেকেই তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু গত ২২ আগষ্ট পার্শ্ববর্তী গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করে তার লোকজন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভাড়াটিয়াদের বের করে ছয়টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে মার্কেটটি দখল করে প্রতিপক্ষ আবু তাহেরকে বুঝিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় মার্কেটের মালিক দাবিদার ও দখলচ্যুত ভুক্তভোগী আবুল কাশেম পরদিন ওই চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নামে আদালতে মামলা করেন। বরুড়া থানার এসআই নাসির উদ্দিন জানান, আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে মামলার তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষ হলে আদালতে সঠিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম বলেন, আমি কোন মার্কেট দখল করিনি। মার্কেটের প্রকৃত মালিককে তার সম্পত্তি উদ্ধার করে দিয়েছি। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল সাহেবের নাম ব্যবহার করিনি।
আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় পাশের ইউপির চেয়ারম্যান হয়ে এভাবে আরেক ইউনিয়নে এসে জায়গা উদ্ধার বা দখল করতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই পারি। ‘রাজনৈতিক বিবেচনায় এটা আমাদের দায়িত্ব’।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল বলেন, রবিউল আমার লোক, এটা সত্য। তবে আমি তাকে এমন কোন নির্দেশ দেইনি। সে সম্ভবত অপর পক্ষের থেকে সুবিধা পেয়ে দলবল নিয়ে মার্কেটটি দখল করে দিয়েছে। গত শনিবার এলাকার একটি অনুষ্ঠানে রবিউলকে পেয়ে বিষয়টি নিয়ে শাসিয়েছি।