গ্রামেই চা দোকানদারি করতেন কামাল হোসেন (৩৫)।সংসারে স্ত্রী ও তিন সন্তান।বিভিন্ন সময় একাধিক এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণের বোঝায় নিজের বসত বাড়িটিও একসময় বিক্রি করে দেন।এরপরও ঋণের কিস্তির যন্ত্রণা কামাল হোসেনের পিছু ছাড়েনি।শেষ পর্যন্ত আত্মহনণের পথ বেছে নিয়ে কামাল হোসেন পরপারে পাড়ি জমালেও পথে বসিয়ে গেছেন স্ত্রী ও তিন সন্তানকে।
ঘটনাটি সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সিঙ্গুলা গ্রামে ঘটেছে।নিহত চা বিক্রেতা কামাল হেসেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে কামাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাদতন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। গৌরিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব কুমার সাহা জানান, নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে কামাল হোসেন আত্মহত্যা
নিহত কামাল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, ‘বিভিন্নভাবে দেনায় জড়িয়ে পড়েন তার স্বামী। এসব দেনা পরিশোধের জন্য ব্যুরো বাংলাদেশ, সিসিডি, বলাকা ও ব্র্যাকসহ ৫/৬টি এনজিও থেকে টাকা তোলে সে। ওই টাকার কিস্তি পরিশোধ নিয়ে প্রায়ই এসব অফিসের লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য হতো। এসব কারণেই আত্মহত্যা করেছে। আর দেনার দায়ে আগেই বসত বাড়ী বিক্রি করে দিয়েছে সে। এখন ছোট দুই ছেলে,এক মেয়ে নিয়ে আমার পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘পরিবারটা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমি চেষ্টা করব সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় এ পরিবারটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে। যাতে পরিবারটি অসহায়ত্ব থেকে বাঁচতে পারে।’
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম