কচুরিপানায় ভরা ঐতিহ্যবাহী কার্জন খাল থেকে কচুরিপানা, ময়লা আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিলেন কুমিল্লা-৭ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লার চান্দিনা ও বরুড়া উপজেলার সংযোগ খালটির চিলোড়া অংশ থেকে পরিস্কার অভিযান শুরু করেন এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত।
এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও খালে নেমে কচুরিপানা পরিস্কার কাজে অংশ নেন। প্রাথমিকভাবে খালটির সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা পরিস্কার করা হবে বলে জানান এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপির সঙ্গে এতবারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান মো. ইউসুফ ও বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আহসান হাবিব সহ দলের নেতাকর্মীরাও কার্জন খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব, উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
এমপি প্রাণ গোপাল দত্তের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, কার্জন খালটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাল। এখনও এই খালটি অন্তত ৫০-৬০ ফুট প্রস্থ। বছরের শুকনো মৌসুম অতিক্রম করে গ্রীষ্মের খড়তাপে যেখানে বেশির ভাগ জলাশয় শুকিয়ে গেছে কিন্তু কার্জন খালে এখনও ৫-৭ ফুট গভীরের পানি আছে। ওই খালে এক সময় বড় বড় নৌকা চলতো। খালের পানিতে দুই উপজেলার কয়েক গ্রামের কৃষক সেচ করে জমিতে ফসল ফলাতো। কিন্তু খালটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় কচুরিপানায় ভড়পুর হয়ে আছে। ফ্যাক্টরীর বর্জ্য ফেলে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। খালটি খনন করা থাক দূরের কথা পরিস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এমপি প্রাণ গোপাল দত্তের এমন উদ্যোগে কার্জন খাল প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।
ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় খালের বিকল্প নেই। এই খালের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে। খালটি পরিস্কার করে, আমার উপজেলার সীমানা পর্যন্ত খনন করে দুই পাশে বৃক্ষ রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ফ্যাক্টরীর বর্জ্য ফেলা বন্ধ করেছি। এই খালের বিশেষ একটি অংশে থাকবে নৌকা। এখানে এসে যাতে এলাকার মানুষ কিছুটা হলেও বিনোদন পায় সে ব্যবস্থা করবো।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম