করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারিদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কুমিল্লার মানুষ জানান দিয়েছে তারা সচেতন, গুজবে কান দেয় না।যারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি চায় না, দেশের মানুষের ভাল থাকা সহ্য করতে পারে না-তারাই নানা গুজবের ডালপালা ছড়ায়।করোনাভাইরাসের টিকা নিতে এসে কুমিল্লার সাধারণ মানুষ এসব গুজব সৃষ্টিকারিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।

কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় দিনে কুমিল্লায় মোট টিকা গ্রহণ করছে ৩ হাজার ৮০০ জন। এর আগে রবিবার ও সোমবার দুই দিনে মিলে মোট টিকা গ্রহণ করেছিল ২ হাজার ৮৩৫ জন।তৃতীয় দিনে এসে আগের দুই দিনের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এ তিনদিনে টিকা নিলেন ৬ হাজার ৬৩৫জন।

মঙ্গলবার কুমিল্লা মহানগরীর দুইটি সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে রীতিমত উপচেপড়া ভীড়। মানুষজন উৎসবমুখর পরিবেশে টিকাগ্রহণ করছেন।উপজেলা সদরের কেন্দ্রগুলিতেও বেড়েছে টিকা গ্রহনকারীর সংখ্যা।প্রথমদিনের টিকা গ্রহণের পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় এর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

করোনা টিকা প্রদানের প্রথম দিন রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লায় ১ হাজার ৯৮ জন টিকাগ্রহণ করেছেন পরদিন সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) টিকা গ্রহণ করেছিল ১ হাজার ৭৩৭ জন। আর মঙ্গলবার ((৯ ফেব্রুয়ারি) টিকা গ্রহণ করেছে ৩ হাজার ৮০০ জন । গত তিন দিনে কুমিল্লায় মোট টিকা গ্রহণ করেছেন জন। গতকাল সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.নিয়াতুজ্জামান।

টিকা নিয়ে নানামুখী গুজব ও শঙ্কা পেছনে ফেলে গত রবিবার থেকে সারা দেশের মতো কুমিল্লায় উৎসবমুখর পরিবেশে করোনাভাইরাসের গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিনই কুমিল্লায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ,শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ মাঠপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নিয়েছেন। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সবচেয়ে বেশি টিকা নিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীসহ মনোনীত অন্য পেশার ব্যক্তিরা। তাঁরা টিকা নিয়ে ভয়কে জয় করতে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল (সদর) হাসপাতাল কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভিড় সামলাতে বেলা সোয়া ১২ টার পর আবেদন টোকেন নেওয়া হয়নি,তাদের ফেরত আসতে হয়েছে। তবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভীড় ছিল তুলনামূলক কম। তবে উপজেলার কেন্দ্রগুলোতেও টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথমদিন রবিবার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের টিকা গ্রহণ করলেও সোমবার ও মঙ্গলবার নানা পেশার মানুষ উৎসাহের সাথে টিকাগ্রহণ করতে দেখা গেছে। নগরীর দুই সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে রীতিমত উৎসবের আমেজ। মানুষজন উৎসবমুখর পরিবেশে টিকাগ্রহণ করছেন। তবে মঙ্গলবার টিকা গ্রহনকারীদের মধ্যে সরকারী চাকুরীজীবির মধ্যে সরকারী কলেজ শিক্ষক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা ছিল তুলনামুলক বেশি।

মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে টিকা গ্রহণ করার পর কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমীন বলেন, অতিরিক্ত কোনও ব্যথা কিংবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব হয়নি। সাধারন ইনজেশনের মতোই মনে হয়েছে। টিকায় আমাদের জয় হবে করোনা। তিনি সকল শিক্ষকদের জন্য টিকার ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আহবান জানান।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় ডট কম ( protisomoy.com) এ চোখ রাখুন এবং প্রতিসময় protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়াও protisomoy ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন সংবাদ ও বিনোদন ভিডিও পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ