করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। করোনা পরিস্থিতি, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, শিক্ষার্থীরাই জাতির ভবিষ্যৎ, এটা অনস্বীকার্য। তারাই আামীদিনে আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।তাই আলোকিত মানুষ হতে হলে শিক্ষার্থীদের এই দুঃসময়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে অধ্যবসায়ী ও সময়ানুবর্তী হতে হবে। এটি বাস্তবায়নে অভিভাবকের দায়িত্বশীল ভূমিকার বিকল্প কিছু নেই। আর এনিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘প্রতিসময়’ এর শিক্ষা-সাহিত্য পাতায় প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের জন্য করণীয় (দ্বিতীয় পর্ব) সম্পর্কে লিখেছেন কুমিল্লার নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমী’র সিনিয়র সহকারী শিক্ষক রোটারিয়ান মোঃ ফারুকুল ইসলাম।
* যেহেতু সারাদেশে সকলপর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সেকারণে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অবস্থান করতে হচ্ছে। এসময়টিতে পিতা-মাতা বা ঘরের দায়িত্বশীল যারা আছেন তারাই অভিভাবক এবং শিক্ষকের ভূমিকায় সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর রাখবেন।
* করোনায় স্কুল বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পড়া সিলেবাস অনুযায়ি ভালোভাবে বাসাতেই শেষ করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়া মানে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া।আর মনোযোগের সাথে পাঠ্যবইয়ের পড়া শেষ করতে পারলে পরবর্তী শ্রেণির পড়া বুঝতে খুব সমস্যা হবেনা।
* প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পাঠ্য বইয়ের অধ্যায়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ব করতে হলে পাঠ্য বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালোভাবে রিডিং পড়তে হবে। প্রতিটি অধ্যায় রিডিং না পড়ে কোনো অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করা কোনো অবস্থাতেই উচিৎ হবে না। কেননা প্রতিটি অধ্যায়ের প্রশ্নোত্তর সেই অধ্যায়ের ভেতরের আলোচনা থেকেই হয়ে থাকে। তাই অধ্যায়গুলো রিডিং পড়লে প্রশ্নোত্তরগুলো সহজেই বলতে বা লিখতে পারা যাবে।
* পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় রিডিং পড়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো গাইড থেকে না বুঝে উত্তর মুখস্থ না করে সেদিকে অভিভাবকদের দৃষ্টি থাকতে হবে। না বুঝে গাইড দেখে মুখস্থ করার অভ্যাসটা যাতে তাদে না হয়, এদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।
* হাতের লেখা সুন্দর না থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী তাদের কাংখিত ফলাফল করতে পারে না। তাই করোনাকালীন বাসায় থাকার সময়টাকে যাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন রুটিন মাফিক হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা করে সেদিকে অভিভাবকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
* স্কুল খোলা থাকলে শিক্ষার্থীরা সহপাঠিদের সাথে তাদের মনোভাব প্রকাশ করত, অনেক অজানা বিষয় একে অন্যের কাছ থেকে শিখত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সুযোগ নেই। তাই সন্তানের সাথে স্কুল সহপাঠির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তাদের মনোভাব প্রকাশ করার এবং মানসিক বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্র অভিভাবককেই তৈরি করতে হবে।অভিভাবকের দায়িত্বশীল ভূমিকাই তার শিক্ষার্থী সন্তানকে আলোকিত মানুষ হবার পথে এগিয়ে নেবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম