করোনা পরিস্থিতির এ কঠিন সময়ে একদিকে জনগণের সেবা, নিরাপত্তা নিশ্চিত অন্যদিকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মানুষ যতে যথাযথভাবে মেনে চলে এসব দায়িত্ব ঝুঁকি নিয়েই পালন করতে হচ্ছে এসময়ের সম্মুখ যোদ্ধা পুলিশ বাহিনী।
চাঁদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এ.এস.আই মো. দিদার আলম সন্মুখযোদ্ধার মতো কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হোন করোনা ভাইরাসে।আক্রান্তের ১৪দিন পর করোনা নেগেটিভের আনন্দ আর মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপনসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি জানিয়েছেন অশেষ কৃতজ্ঞতা।
করোনায় আক্রান্ত হলে ভয় নয়, মানসিক সাহস ও নিয়মবিধি পালন করলেই পজিটিভ বেড়াজাল বেরিয়ে আসা যায়, এমন আত্মবিশ্বাসের কথাই জানালেন তরুণ পুলিশ কর্মকর্তা দিদার আলাম।
করোনাজয়ী দিাদর আলম জানান,‘গত ৮ই মার্চ ২০২০ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর সরকারী নির্দেশনা পালনের অংশ হিসাবে নিয়মিত থানার এক প্রন্ত থেকে অন্য প্রান্তে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি।জুনের শেষের দিকে শারিরিক কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। যা করোনা উপসর্গের মতোই মনে হচ্ছিল। এরপর গত ২জুলাই নমুনা পরীক্ষার জন্য দিলাম। ৫জুলাই রিপোর্ট পেলাম করোনা পজিটিভ’।
তিনি আরও জানান, ‘ভয় পাইনি।মনে সাহস রাখলাম।করোনা আক্রান্তের এ কঠিন সময়ে সার্বক্ষণিক আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন চাঁদপুর জেলা পুলিশের সকল অফিসারসহ সদস্যবৃন্দ। বিশেষ করে আরিফুর রহমান (সহ-কমিশনার ভূমি) সুবর্ণচর এবং পুলিশের জেলা বিশেষ শাখা চাঁদপুরের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান মোল্লা স্যার আমাকে সাহস ও পরামর্শ দিয়েছেন। ১৪দিন পর আজ ২০ জুলাই সোমবার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এলো। নেগেটিভের আনন্দ আমার মাঝে। আর শুকরিয়া মহান প্রভুর প্রতি।পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই আমার শ্রদ্ধেয় স্যারদের।ভালোবাসা, শুভেচ্ছা রইলো সহকর্মী ও বন্ধুদের প্রতি’।
উল্লেখ্য, সোমবার (২০জুলাই) ৬৩টি রিপোর্টের মধ্যে ২৮টি রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। বাকী ৩৫টি রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ। চাঁদপুরে জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ১৪৮৯জনের উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো : চাঁদপুর সদরে ৫৫২জন, ফরিদগঞ্জে ১৭৪জন, মতলব দক্ষিণে ১৬৯জন, শাহরাস্তিতে ১৫৫জন, হাজীগঞ্জে ১৪৮জন, হাইমচরে ১১৪জন, মতলব উত্তরে ১০৯জন ও কচুয়ায় ৬৮জন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম