পেশায় দুজনই আইনজীবী। একজন পুরানো, আরেকজন শিক্ষানবিশ। দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ওদের। প্রেমের বিষয়টি বিয়ের পিঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য নারী আইনজীবী তার প্রেমিক আইনজীবীকে অপহরণ করে। আর এঘটনা মামলায় রূপ নিয়ে থানা, আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রেমিকাকে কারাগারে যেতে হয়।
কিশোরগঞ্জের গাইটাল শ্রীনগর এলাকায় একটি বাড়িতে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেলকে আটকে রাখার এ ঘটনাটি মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটে। আইনজীবী হিমেলকে অপহরণের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার শিক্ষানবিশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রাত ৮টার দিকে ২নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলামের খাস কামরায় মামলার নথি পাঠানো হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আফরোজা জামান রুনাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে বাদী অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্মস্থলে আসার সময় জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে থেকে আসামিরা তাকে পথ আটকে জোর করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরে তাকে গাইটাল শ্রীনগর এলাকায় আফরোজা জামান রুনার বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঘণ্টা খানেক পর আফরোজা জামান রুনার বাসা থেকে মোস্তফা আলম হিমেলকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে উদ্ধারের পর অ্যাডভোকেট মোস্তফা আলম হিমেল অপহরণের অভিযোগ এনে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় আফরোজা জামান রুনা ছাড়া বাকি তিন আসামি হচ্ছেন- তার বড় ভাই মো. রানা, প্রতিবেশী মো. সাফায়েত ও ইসফাম।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, দুই আইনজীবীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য রুনা বিভিন্ন সময় হিমেলকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে হিমেলকে বিয়ে করার জন্য ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে রুনা কিছু লোকজন নিয়ে তাকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ হিমেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম