এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থাগ্রহণ না করলে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষক ও প্রক্টর অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবেন জানান । এদিকে রোববার থেকে সশরীরে ক্লাস করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
ড. তাহের জানান, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। যদি আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না করা হয় তাহলে বৃহস্পতিবার উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। যেহেতু উপাচার্যের সকল অপকর্ম করেছেন কোষাধ্যক্ষের ইঙ্গিতে, সেজন্য আমরা কোষাধ্যক্ষকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।
তিনি আরও বলেন, রবিবার থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরবে শিক্ষকরা। গরমের মধ্যে সশরীরে ক্লাস কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুমিল্লা অন্যান্য জায়গার চেয়ে তাপমাত্রা কম, আর এতদিন ক্লাস মিস হওয়া ক্লাস গুলো পুষিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষক সরাসরি ক্লাসে জয়েন করবে।
তবে শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা ক্লাস নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি কেউ শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে শিক্ষক সমিতি যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড এএফএম আবদুল মঈন বলেন, তদের দাবিগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে বলা হয়েছে আপনারা বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে বসেন। তারা বলেছিলো তারা বসবে, কিন্তু তারা বসেন নি।
তিনি আরো বলেন, তারা রাষ্ট্রপতি কতৃক নিয়োগ দেওয়া ব্যাক্তিকে কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই। সেটি শিক্ষক সমিতি ভালো বলতে পারবে।
শিক্ষকদের সশরীরে ক্লাসে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত তারা কেন এমনটা করছে আমি বুঝতে পারছি না। পূর্বে তারা ক্লাস বর্জন করেছে। যা তাদের নিজস্ব ব্যপার। কিন্তু গরমের কারনে এখন প্রশাসন কতৃক অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা তারা মানছেন না। তারা মূলত প্রশাসনের বাহিরে গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছেন।
এদিকে ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৩ দফায় ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষক সমিতি। এছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রায় ১২ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম