কুমিল্লা মাদক বিক্রি ও সেবনের দুটি আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।কুমিলের দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘরের কান্দা এলাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে মাদকের দুটি আস্তানা ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় আস্তানা দুটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পাগলা জহির ওরফে গামছা জহিরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কান্দা এলাকায় পাগলা জহিরের বসতবাড়িতে গড়ে তোলা মাদক বিক্রি ও সেবনের আস্তানা দুটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাঁজা ও বিপুল পরিমাণ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ এবং গণপিটুনি দিয়ে আটক করা মাদক বিক্রেতা পাগলা জহিরকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাগলা জহির দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে ওরস পালনের নামে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক বিক্রি, সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। এসব বন্ধ করার জন্য তাকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও সে তাতে কর্ণপাত করেনি। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন আজ সন্ধ্যার দিকে পাগলা জহিরের মাদক বিক্রি ও সেবনের আস্তানা ভেঙ্গে ফেলে।
এ সময় তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণ পিটুনি দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার আস্তানা থেকে গাঁজা ও সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। তাকে আটক করায় এলাকায় স্বস্থি ফিরে এসেছে। পাগলা জহিরের কার্যকলাপের কারণে এলাকার তরুন ও যুব সমাজ বিপথগামী হয়ে পড়ছিল। ওরসের নামে মাদক বিক্রি ও সেবনের এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে তাকে অনেকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, এলাকাবাসী পাগলা জহির নামে এক ব্যক্তিকে গাঁজা ও মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ আটক করে পুলিশে খবর দিলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার আস্তানায় বিপুল পরিমান মাদক ও তা সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Last Updated on March 6, 2023 10:53 pm by প্রতি সময়