নিখোঁজের দুই দিন পর সাত বছর বয়সী শিশুকন্যা মীমের লাশ মিলেছে একটি মাদরাসার সেফটি ট্যাংকে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে। নিহত মীম ওই গ্রামের মোঃ শরীফুল ইসলামের মেয়ে।
শনিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদরাসার সেফটি ট্যাংক থেকে মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখে দূর্বৃত্তরা।
নিহত শিশুটির পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে মীম নিখোঁজ হয়। আজ শনিবার তারা জানতে পারেন সেফটি ট্যাংকে মীমের বস্তাবন্দি লাশ পড়ে আছে।
নিহত মীমের বাবা মোঃ শরীফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় সিএনজি চালতি অটোরিকশা চালক। তার এক ছেলে এক মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীর বাহিরে খেলতে গিয়ে নিঁখোজ হয় তার মেয়ে মীম। পরে বুড়িচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এদিকে সেফটি ট্যাংকে মীমের বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান দেয় ওই গ্রামের আবদুল মবিনের ছেলে মোঃ কাইয়ুম (১৬)। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। আটক কাইয়ুম ওই মাদ্রাসায় দফতরীর চাকরি করে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যান । পরে বাবা আবদুল মবিনের অনুরোধে পরবর্তী দফতরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫ শ টাকা বেতনে মাষ্টাররোলে চাকরি দেয়া হয় কাইয়ুমকে।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। আমরা একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম