কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় রোটাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছে রোগীরা। চিকিৎসকদের দাবি, সরকারিভাবে এ ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ না করায় প্রতি বছরই শীতকালে শিশুরা সহজেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, রোটাভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা চিকিৎসাসেবা নিতে প্রতিদিন ভিড় করছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে। অবস্থার অবনতি হলে আবার অনেকে তাদের সন্তানদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করাচ্ছেন। ভর্তি রোগীদের আবার উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার আশায় কেউ কেউ পাড়ি জমাচ্ছেন চাঁদপুরের আইসিডিডিআরবিতে। তবে জানা যায় অধিকাংশ রোগীই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে কম সময়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, রোটাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সম্ভব। ডায়রিয়ার প্রধান ওষুধ ওরস্যালাইন। পাতলা পায়খানাজনিত পানিশূন্যতা পূরণে ওরস্যালাইন প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে যদি রোগীর অধিক পরিমাণে বমি হতে থাকে সেক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, 'শীতকালে রোটাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতি বছরই কমবেশি দেখা দেয়। এ ভাইরাসের কারণে অধিকাংশ শিশু ডায়রিয়া, বমি ও শ্বাসকষ্টে ভোগে। এ রকম পরিস্থিতিতে অবশ্যই ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে খাওয়ার স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়াতে হবে। যদি রোগী অতিরিক্ত বমি করে তখন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। যেসব শিশু আক্রান্ত হয়নি সেসব শিশুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শীতের আমেজ বইছে, শিশুদের গরম কাপড় পরিধান করাতে হবে।"
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম