কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার একটি মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতো একই উপজেলার বড়ধুশিয়ার গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে মো. হাকিম আদর (১৮)।বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকেও জানায়।
অবশেষে গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় মো. হাকিম আদর।সেদিন ওই ছাত্রী স্কুলের অ্যাসাইনম্যান্টের খাতা জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে মো. হাকিম আদর।এরপর তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
স্কুলের অ্যাসাইনম্যান্টের খাতা জমা দিয়ে বাড়ি না ফেরায় ওই ছাত্রীর পরিবার বুঝতে পারে আদর নামের ওই যুবক কোন অঘটন ঘটিয়েছে।এলাকায় আদরকে খুঁজে না পেয়ে ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় অভিযোগ করেন।
এদিকে গত সোমবার (২১ ডসেম্বর) বিকেলে আদর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে কুমিল্লায় যাওয়ার পথে ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ মিলে ব্রাহ্মণপাড়ার হরিমঙ্গল বাজার এলাকায় তাকে আটক করে।পরে তার স্বীকারোক্তিমতে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।এঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মো. হাকিম ওরফে আদরের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই ব্রাহ্মণপাড়া থানায় অপহরন ও ধর্ষণ মামলা করেন।পুলিশ এ মামলায় আদরকে গ্রেফতার দেখায়।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে দন্ডবিধির ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই স্কুল ছাত্রী। জবানবন্দিতে ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, তাকে আদর নামের এই যুবক অপহরণ করে একটি বাড়িতে আটকে রেখে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আদালতের বিচারক ওই ছাত্রীর জবানবন্দির পর আসামী মো. হাকিম ওরফে আদরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী নাজমুল হক বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার আসামী মো. হাকিম ওরফে আদরকে আদালতে নেয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।’
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম