রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষদিকে ঘটা রোমাঞ্চে আলো ছড়ায় মোহামেডান। শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে হলেও সব নাটকীয়তা যেনো শেষের জন্যই তৈরি ছিলো।
বিশেষ করে ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের ৫ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে আবাহনীকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন আকাশ। গোলবারে বলকে রাখতে পারলেই গোল করার এমন সুযোগ পেয়েও কল্পনাতীতভাবে হাতছাড়া করলেন তিনি। সুমন রেজার পাসটা পোস্টর বাইরে মারলেন আকাশ। তার মিসের পরেই আবাহনীর খেলোয়াড়দের মাথায় হাত।
যদিও এরপরই ম্যাচের বড় নাকটীয়তা শুরু হয়। একদম শেষ মুহূর্তে গোল করে আবাহনী। কিন্তু আগেই রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলে ধরায় সমতায় ফেরা হয়নি আবাহনীর। পরে সহকারী রেফারিকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি আবাহনীর।
এর আগে ১২ মিনিটে মোহামেডানকে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পান এমানুয়েল সানডে। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সের মাঝ বরাবর বল পেয়েও শটটা মারলেন বারের ওপর দিয়ে। বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে অবশ্য দলকে এগিয়ে দেন সুলেমান দিয়াবাতে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের ২ মিনিটে সতীর্থ মিনহাজ রাকিবের ক্রসে শূন্য লাফ দিয়ে হেডে গোল করেন মোহামেডানের অধিনায়ক।
বিরতির পর পরেই সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আবাহনী। কিন্তু ৪৮ মিনিটে তাদের হতাশ করে ক্রসবার। আবাহনীর এক খেলোয়াড়ের নেওয়া শট বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি সুযোগ পেলে তা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন সেই খেলোয়াড়।
এর দুই মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিলো মোহামেডান। কিন্তু প্রতিপক্ষের বক্সের ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও বাইরে মারেন আর্নেস বোয়াটেং। ৫৫ মিনিটের কর্নার থেকে আরেকবার গোল করার সুযোগ পেয়েছিলো মোহামেডান। সেবারও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি তারা।
অবশ্য ৭৪ মিনিটে গোলটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলো মোহামেডান। কিন্তু ডান দিক থেকে দিয়াবাতের নেওয়া শট দূরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে দিয়াবাতের জয়সূচক গোলেই লিগে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে মোহামেডান।
এই জয়ের মাধ্যমে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেও চলে যায় মোহামেডান।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম