কৃষিকাজের পাশাপাশি গবাদি পশু পালন ও বাড়ির পাশে টং দোকানের আয়ে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করতেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক সহিদ মিয়া। দোকানের পাশের একটি কক্ষে তিনটি গরু রেখে লালন পালন করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে পাশেই ঘরে ঘুমাতে যেতেন সহিদ মিয়া।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে দোকানের বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুন লেগে টং দোকানটি পুড়ে ছাই ও পাশের কক্ষে থাকা গরু তিনটি পুড়ে মারা যায়। জীবিকার প্রধান অবলম্বন টং দোকান আগুনে ভষ্মিভূত ও কিস্তির টাকায় কেনা গরু তিনটি পুড়ে মরে যাওয়ায় নির্বাক হয়ে পড়েছেন হতদরিদ্র কৃষক সহিদ মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে এলাকার লোকজন সহিদ মিয়ার দোকানঘর থেকে আগুনের শিখা বের হতে দেখে তাকে খবর দেন ও মসজিদের মাইকে আগুন নেভানোর জন্য প্রচার শুরু করা হয়। ততক্ষণে আগুনে সব পুড়ে ছাই সহিদ মিয়ার। স্থানীয় লোকজন সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে আগুন আনলেও সহিদ মিয়ার টংদোকানের মালামাল, টাকা, পাশের কক্ষের গরু কোনটাই রক্ষা করা যায়নি।
এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুরাদনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুল হুদা বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জীবিকার সব হারিয়ে নির্বাক শহীদ মিয়া বলেন, অনেক কষ্টে জমানো কিছু টাকা ও কিস্তিতে পরিশোধ করার শর্তে বাকি টাকার ব্যবস্থা করে কয়েক মাস আগে গরু তিনটি কিনছিলাম। আগুনে আমার আয় রোজগারের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাসার বলেন, অগ্নিকান্ডে কৃষক শহীদ মিয়ার যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা খুবই দু:খজনক।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভুইয়া জনী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা পরিষদ, ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম