কুমিল্লার মুরাদনগরে এডহক কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধির নামের তালিকায় স্বাক্ষর নিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার পীর কাশিমপুর আরএন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিন রাতে এ ঘটনায় শরীফ খান নামে একজনকে আটক করে মুচলেকা নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযোগে জানা যায়, পীর কাশিমপুর আরএন উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি নিয়ে এলাকায় দুটি গ্রুপ স্নায়ু যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এরই মাঝে বিধি অনুসারে কাজ করার জন্য প্রশাসন এবং সচেতন মহল থেকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে আহবান করা হয়।
তিনি একটি তালিকা প্রস্তুত করলেও রোববার হঠাৎ স্কুলে এসে হাজির হয় এলাকার একটি গ্রুপ। এসময় অভিভাবক প্রতিনিধি পদ প্রত্যাশী শরীফ খানের সহযোগী মুন্না, সুমনসহ একদল যুবক প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হেনস্থা ও অপমান অপদস্থ করে। পরে জিম্মি করে ইউএনও অফিসে নিয়ে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
এক অডিও বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, মুন্না, সুমনসহ একদল যুবক আমাকে স্কুল থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং ইউএনও অফিসে নিয়ে তাদের প্রস্তাবিত কমিটিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। আমি তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলাম। আমার সাথে কি ধরনের আচরণ করা হয়েছে তা আর বলা যাবে না।
এবিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, পীর কাশিমপুর আরএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ঘটনায় শরীফ খান নামে একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় যেন কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় সে বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রাখছি।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম