কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাতলা এলাকা থেকে একটি ধানের জমি হতে মোঃ ছাদেকুর রহমান (২২) নামে এক গৃহশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টায় উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, ওই যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার পর ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।

নিহতের বড় ভাই হাফেজ মোঃ আল আমিন ও ফয়েজ উল্লাহ জানান তারা চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট নিহত মোঃ ছাদেকুর রহমান (২২)। তাদের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার দুল্লাই নবাবপুর ইউনিয়নের বিচুন্দাইর বড়বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ ছাদেকুর রহমান। তিনি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নামতলা পূর্ব পাড়া গ্রামের ওমর ফারুকের বাড়িতে দুই বছর আগ থেকে গৃহশিক্ষক হিসেবে থাকেন।

জানা যায়, ওই গ্রামে গৃহশিক্ষক হিসেবে থেকে খন্ডকালিন তিনি ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় সাইফুল ইসলামের খাজা ইলেকট্রনিক দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার রাতে ওই দোকান থেকে লজিং থাকা বাড়িতে ফিরে তিনি ফুটবল খেলা দেখতে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে আসেননি। সকাল সাড়ে ৭ টায় বাড়ির পাশের একটি মক্তবে আরবি পড়ার জন্য ছোট বাচ্চারা যাওয়ার সময় পূর্বপাশে একটি ধান ক্ষেতে উল্টে পড়ে থাকা লাশ দেখে লজিং বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন বুড়িচং থানায় খবর দিলে থানার ওসি মোঃ মারুফ রহমানের নেতৃত্বে দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জাবেদুল ইসলাম, এস আই জাহিদুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে নিহতের ভাই মকবুল হোসেন, ফয়েজ উল্লাহ, তাদের মামা আব্দুল আলিম বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দূর্বৃত্তরা ছাদেকুরকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে চলে যায়। আমরা খুনিদের খুঁজে বের করে এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান বলেন, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। যে বাড়িতে লজিং থাকত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ধানের জমিতে ফেলে দেয়। ঘটনাস্থলে সিআইডির টিম গিয়েছে। তারা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে মৃত্যু রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।