রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। শেষ মূহুর্তে কুমিল্লার বেশিরভাগ হাটে কোরবানীর পশুর সংকট দেখা দিয়েছে। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে পছন্দের পশু কিনতে এক হাট থেকে অন্য হাটে ছুটছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে এবারের ঈদে ছোট সাইজের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে প্রায় ২০ভাগ। গত বছর কুমিল্লায় কোরবানীর হাটের সংখ্যা ছিল ৭০৬ টি। করোনা সংকটের কারণে কুমিল্লায় এবার কোরবানীর হাট প্রায় অর্ধেক কমে গেছে।
শেষের দিকে কোরবানী পধুর দাম কমবে এমন আশায় বসে থাকা ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও পছন্দের গরু মিলাতে পারছেন না। বিশেষ করে ৪০ হাজার থেকে ৭০/৮০ হাজার টাকার দামের গরুর সংকট দেখা দিয়েছে হাটে।
এবারের ঈদে সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় ভারতীয় গরু আসতে না পারায় আর করোনা আতংকে মৌসুমী ব্যাবসায়ী কমে যাওয়ার কারণে কুমিল্লা জেলার গরুর উপরই ভরসা করতে হচ্ছে কোরবানীদাতাদের। হাটের ইজারাদাররা বলছেন, দাম বেশি নয়, ন্যায্য দাম পাচ্ছেন বিক্রেতারা।বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জেলার বেশির ভাগ পশুর হাট ছিল ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত। করোনা সংকটে শুরুতে এ বছর কোরবানীর হাটে ক্রেতা একেবারে কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছিল খামারি সহ বিক্রেতারা। কিন্তু বৃহস্পতি, শুক্রবার হাটের পুরো চিত্রই পালটে গেছে। হাটে হঠাৎ ক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গরু-ছাগলের দামও মূহুর্তেই বেড়ে যায। ছোট ও মাঝারি আকারের গরু সংকট রয়েছে হাটে। তবে লাখ টাকা বা এর উপরের দরের গরু থাকলেও এ দামের ক্রেতার সংখ্যা কম। শহরতলীর বালুতুবা, বাজগড্ডা, বিবিরবাজার, বানাশুয়া ও নেউরা পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটায় কালিরবাজার হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে দেশি গরুতে ভরপুর। ক্রেতায় ঠাসা পশুহাট। বেচা-বিক্রি চলছে ধুমছে। ইজারাদার মো.ইউনুছ জানান, গত বাজারের চেয়ে আজকের বাজারে ২৫ ভাগ গরু কম উঠেছে। আর দাম ১০ থেকে ১৫ ভাগ বেশি। কামাল উদ্দিন জাফরী নামে এক ক্রেতা জানান, আজ দাম বেশি। নেউরা ঘুরে পছন্দের গরু না পেয়ে এ বাজারে এসেছেন।
কুমিল্লা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম হাটে গরুর সংকট নেই দাবী করে বলেন,দাউদকান্দি এলাকার বেশ কিছু খামারের গরু অনলাইনে ঢাকায় বিক্রি হয়েছে। বাহিরের জেলার গরু না আসায় শেষ সময়ে বাজারে চাপ পড়েছে।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম