কুমিল্লার বেশিরভাগ হাটে কোরবানিযোগ্য বিপুল পরিমাণ পশুর সমাগম ঘটলেও ক্রেতা নেই। ক্রেতাদের বেশিরভাগই হাটে গরু-ছাগল দেখছেন, দরদাম করছেন। ব্যাস, এটুকুই। কেউ কেউ কিনছেন। তবে সেই সংখ্যা নেহাতই কম।
শনিবার (২৫জুলাই) এবং রবিবার (২৬ জুলাই) এমন দৃশ্য দেখা গেছে কুমিল্লায় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। স্থানীয় গৃহস্থ, বেপারীরা ঈদের ৫দিন আগে হাটের এ অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
অন্যদিকে ক্রেতা-বিক্রেতা যারাই হাটে অবস্থান করছেন তাদের বেশিরভাগই মুখে নেই মাস্ক। আর সামাজিক দুরত্ব! এটা কারো পক্ষেই মানা সম্ভব নয়। হাটের ইজারাদাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার মাইকে ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন। কেউ শুনেনা কারো কথা।
পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে আর মাত্র ৫দিন বাকি। শনিবার সদর দক্ষিনের বিখ্যাত গরু বাজার চৌয়ারা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, নানা দামের, নানা রঙের কোরবানির পশু উঠেছে। কিন্তু বিক্রেতারা ক্রেতা সংকটে দিশেহারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে অবস্থানের পর বিক্রি না হওয়ায় পশু নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
রবিবার নগরীর চকবাজারে গিয়েও দেখা গেছে একই অবস্থা। হাটে গরু-ছাগল প্রচুর। কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। তবে অনেককেই ছাগল কিনে নিতে দেখা গেছে। গরু বেপারীদের অনেকেই জানান, ক্রেতারা দদাম করছে। কিন্তু কাঙ্খিত দাম মিলছে না।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর অনলাইনে কোরবানি পশু ক্রয় করার জন্য এ্যাপস চালু করেছেন। এতে করোনা সংক্রমন রোধে স্বল্প পরিসরে হাটে যাওয়ার জন্য এবং অনলাইনের মাধ্যমে গরু ক্রয় করতে আহŸান জানানো হচ্ছে। তবে শহরের কিছু মানুষ অনলাইনে গরু কিনলেও গ্রামের মানুষের ভরসা কোরবানির হাট।
এ বছর কুমিল্লায় জেলায় ৩৭৮টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। গত বছর কুমিল্লায় হাটের সংখ্যা ছিল ৭০৬ টি। করোনা সংকটের কারণে কুমিল্লায় এবার প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনা হয়েছে হাটের সংখ্যা।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম