সৌদিআরবে চাকরি করতেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চেৎপুর গ্রামের আবদুল জলিল। স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তার স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম। আর দেশে থেকেই স্বামীকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন পরকীয়া প্রেমিকসহ অন্য সহযোগিদেন নিয়ে। স্বামী দেশে আসার পর তাকে চিকিৎসা করানোর নামে ঢাকায় নেওয়ার পথে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন স্ত্রী শাহনেওয়াজ ও তার প্রেমিকসহ অন্যরা। প্রায় সাড়ে দশ বছর পর স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা পৌনে ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালতক থাকায় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কারারকান্দি গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে মো. কুদ্দুস মিয়া, একই উপজেলার মঙ্গলকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মাইক্রোবাস চালক আ. খালেক ও কারারকান্দি গ্রামের মৃত সাধন মিয়ার ছেলে মো. রাজিব এবং হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদিপ্রবাসী আবদুল জলিলের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম।
রাষ্ট্র পক্ষের কৌশলী এপিপি এডভোকেট মো. আবু ইউসুফ বলেন, ঢাকায় চিকিৎসার করানোর কথা বলে ২০১৩ সালের ৯ জুন হতে ১০ জুন তারিখের যেকোন একদিন সৌদি প্রবাসী আবদুল জলিলকে তার স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। পরে লাশ খুঁজে পাওয়ার পর নিহতের ছোট ভাই তাজুল ইসলাম অজ্ঞাত আসামির কথা উল্লেখ করে হোমনা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত জলিলের স্ত্রীসহ চারজনকে গ্রেফতার করে।
জলিলের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগম আদালতে পরকীয়ার ঘটনার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দি দেয়। বাকী আসামিরাও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। মামলায় ৫জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। পরে স্বাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে নিহতের স্ত্রী শাহনেওয়াজ বেগমসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং শাহজাহান নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
সম্পাদকঃ শাহজাহান চৌধুরী
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সাদিক হোসেন মামুন
কপি রাইটসঃ প্রতিসময় ডটকম